Gujarat: এসইউভি পিষে দিল ৬ জনকে, ঘোর সঙ্কটে কংগ্রেস বিধায়কের জামাই

শুক্রবার (১২ অগস্ট) গুজরাটের এক কংগ্রেস বিধায়কের জামাতার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা দায়ের করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে এসইউভির ধাক্কায় ৩ মহিলা-সহ ৬ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

Gujarat: এসইউভি পিষে দিল ৬ জনকে, ঘোর সঙ্কটে কংগ্রেস বিধায়কের জামাই
এসইউভি নিয়ে পরপর ধাক্কা একটি অটো এবং একটি মোটরবাইককে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2022 | 2:35 PM

গুজরাট: বছরের শেষেই গুজরাতে নির্বাচন। তার মাত্র কয়েক মাস আগে অস্বস্তিতে পড়ল কংগ্রেস। শুক্রবার (১২ অগস্ট) গুজরাটের এক কংগ্রেস বিধায়কের জামাতার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা দায়ের করল পুলিশ। বিধায়কের জামাতার বিরুদ্ধে একটি এসইউভি গাড়ি নিয়ে একটি অটোরিকশা এবং একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারা ছয়জনকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, আনন্দ জেলার সোজিত্রা গ্রামের কাছে। তারাপুরের সঙ্গে আনন্দ শহরের সংযোগকারী রাজ্য সড়কের উপর কংগ্রেস বিধায়ক পুনমভাই পারমারের জামাতা কেতন পাধিয়ারের এসইউভি গাড়ি, একটি অটোরিক্সা ও একটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়। তাঁরা আনন্দ জেলার সোজিত্রা এবং বোরিয়াভি গ্রামের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যে তিনজন মহিলাও রয়েছেন। সেই সময় বিধায়কের জামাতাই এসইউভিটি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে তিনি গাড়িটি ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে অবশ্য তাঁকে খুঁজে বের করে পুলিশ এবং আটক করে। তবে, দুর্ঘটনায় তিনি নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, আনন্দ জেলার পুলিশ সুপার অজিত রাজিয়ান।

সোজিত্রা পুলিশ স্টেশনের সাব-ইন্সপেক্টর এ পি পারমার জানিয়েছেন, “অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর নাম কেতন পাধিয়ার। তিনি সোজিত্রা বিধানসভা আসনের কংগ্রেস বিধায়ক পুনমভাই পারমারের জামাতা। কেতন পাধিয়ার বর্তমানে আনন্দের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কারণ, তিনিও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে, আমরা দেখছি গাড়ি চালানোর সময় তিনি অ্যালকোহলের প্রভাবে ছিলেন কিনা। তাঁর রক্তের নমুনা বিশ্লেষণের জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। কেতন পাধিয়ারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারার অধীনে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা করা হয়েছে।”

আগামী ডিসেম্বরেই ১৮২ সদস্যের গুজরাট বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনও নির্বাচন কমিশন কোনও সূচি ঘোষণা করেনি। চলতি বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ২০১৭ সালেও নির্বাচন হয়েছিল ডিসেম্বরেই। বিজেপি জিতেছিল ৯৯টি আসন, কংগ্রেস ৭৭টি। বিজয় রুপানি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০২১-এর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করার পর ভূপেন্দ্র প্যাটেল নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ২০১৭ সালে কংগ্রেস, বিজেপিকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেললেও, এবার শতাব্দী প্রাচীন দল আরও চাপে। প্রচার দারুণ সাড়া পাচ্ছে অরবিন্দ কেজরীবালের আপ। হার্দিক প্যাটেলের মতো পতিদার নেতা হয়েছে হাতছাড়া। এর মধ্যে ‘জামাতা কাণ্ড’ অস্বস্তি যে আরও বাড়াবে, তা বলাই বাহুল্য।