Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bizarre: প্রাক্তন প্রেমিকের প্রতিশোধ! বিয়ের উপহারে বিস্ফোরণ ঘটে আহত বর ও তাঁর ভাইপো

Gujarat: জানা গিয়েছে, কনের দিদির প্রাক্তন সহবাস সঙ্গী পাঠিয়েছিলেন ওই খেলনা। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতেই ওই কাজ করেছিলেন তিনি। তাঁকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

Bizarre: প্রাক্তন প্রেমিকের প্রতিশোধ! বিয়ের উপহারে বিস্ফোরণ ঘটে আহত বর ও তাঁর ভাইপো
নববিবাহিত লতীশ ও সালমা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 12:12 PM

সুরাট: বিয়েতে এসেছিল উপহার। উপহার পাওয়া ইলেকট্রনিক্স টেডি বিয়ার খুব ভাল লেগেছিল বরের। সেই ইলেকট্রনিক্স খেলনায় চার্জ দিতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। খেলনা চার্জে বসাতেই জোরালো শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বর ও তাঁর ভাইপো। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের নভসারি জেলায়। ঘটনার পর কনের বাবা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, কনের দিদির প্রাক্তন সহবাস সঙ্গী (Live in Partner) পাঠিয়েছিলেন ওই খেলনা। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতেই ওই কাজ করেছিলেন তিনি। তাঁকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, নভসারি জেলার ভাসদা তালুকের মিন্দাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা লতীশ গাভিট। তাঁর সঙ্গেই ১৩ মে বিয়ে হয় জংপুর গ্রামের সালমা হরিশ্চন্দ্র গাভলির সঙ্গে। সালমা স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা করেন। অনুষ্ঠান পর্ব মিটতেই বিয়েতে পাওয়া উপহার খুলে দেখছিলেন বর ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। সে সময় ওই ইলেট্রনিক্স টেডি বিয়ারটি পছন্দ হয় বরের। তা চার্জে বসাতে যান তিনি। সে সময় তাঁর পিছু পিছু গিয়েছিল তাঁর ভাইপোও। কিন্তু টেডি বিয়ার চার্জে বসাতেই তা ফেটে যায়। যার জেরে লতীশ ও তাঁর ভাইপো গুরুতর জখম হন। বিস্ফোরণের শব্দে শুনে ছুটে আসে কনে ও বাড়ির অন্যান্যরা। গোটা ঘটনার কথা বাবাকে ফোন করে জানান সালমা। এর পর নভসারি থানায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ এসে শুরু করে তদন্ত।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সালমা জানান, বিয়ের দিন পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা আরতি প্যাটেল নামের এক আশা কর্মী ওই খেলনা উপহার হিসাবে তাঁকে দিয়েছিলেন। কিন্তু কে ওই উপহার পাঠিয়েছেন। সে ব্য়াপারে তাঁকে কিছু জানাননি আরতি। পুলিশ আরতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে রাজু প্যাটেলের নাম। আরতি পুলিশকে জানান, রাজু প্যাটেল ওই উপহার তাঁকে দিয়েছিলেন দেওয়ার জন্য।

সালমার বাবা হরিশ্চন্দ্র জানিয়েছেন, রাজু তাঁর বড় মেয়ে জাগ্রুতির সহবাস সঙ্গী ছিলেন। পাঁচ বছর তাঁরা এক সঙ্গে থেকেছেন। তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু মাস তিনেক আগে রাজুর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তাঁর মেয়ে রাজুকে ছেড়ে বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। সালমার বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের আগে থেকেই রাজু বিবাহিত ছিলেন।

ঘটনা নিয়ে পুলিশের এক অফিসার বলেছেন, “বুধবার আমরা অভিযুক্ত রাজুকে গ্রেফতার করেছি। সে নিজের অপরাধের কথা স্বীকারও করেছে। সম্পর্কের জটিলতা হওয়া নিয়ে জাগ্রুতি ও তাঁর বাবা-মায়ের উপর রেগে ছিল সে। তাঁর তাঁদের পরিবারকে শিক্ষা দিতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বর ও তাঁর ভাইপো বিস্ফোরণএ গুরুতর জখম হয়েছে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।“