Gyanvapi Controversy: জ্ঞানব্যাপী মসজিদে শিবলিঙ্গের খোঁজ মেলার দাবি হিন্দু মহিলাদের আইনজীবীর, এলাকা ঘিরে ফেলার নির্দেশ আদালতের
Gyanvapi Controversy: ভিডিয়োগ্রাফির সময়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও, মামলাকারীদের তরফে হাজির এক আইনজীবী জানান, সকালে কুয়ো থেকে জল তোলা হয়। সেখানেই শিবলিঙ্গ দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
বারাণসী: জ্ঞানব্যাপী মসজিদের একাংশ ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিল বারাণসীর এক আদালত। আজ, সোমবার আবেদনকারী হিন্দু মহিলাদের আইনজীবী হরি শঙ্কর জৈন আদালতে দাবি করেছেন, ভিডিয়োগ্রাফি চলাকালীন খোঁজ মিলেছে একটি শিবলিঙ্গের। এরপরই বারাণসীর জেলাশাসক কুশল রাজ শর্মাকে এলাকা ঘিরে ফেলার এবং সকলের প্রবেশাধিকার বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারক রবিশঙ্কর দিবাকর। উল্লেখ্য, এ দিন গোপনীয়তার সঙ্গে চূড়ান্ত রিপোর্টও পেশ করে আদালতের নিয়োগ করা কমিশন। উল্লেখ্য, শিবলিঙ্গ সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনও তথ্য দেননি কমিশন। আগামিকাল জ্ঞানব্যাপী মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও।
বারাণসীর জ্ঞানব্যাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। ‘স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর’নামক একটি সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছিল, মসজিদটি যে জমির উপরে তৈরি, সেখানে আসলে হিন্দু মন্দির ছিল। পাঁচ জন মহিলা দাবি করেন, মসজিদের ভিতরে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে। গত বছর বারাণসী আদালতের তরফে মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে মূলত মসজিদের পশ্চিম অংশ ও নীচের তল, যাকে ‘তেহখানা’ বলা হয়, সেই অংশটিতে ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে কিনা, তা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। ফের আর্জি জমা পড়লে, আদালতের তরফে গত বৃহস্পতিবার গোটা মসজিদের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। বারাণসী আদালতের তরফে অজয়কুমার মিশ্র-সহ তিন জন পর্যবেক্ষকের অধীনে তিনদিন ধরে ভিডিয়োগ্রাফির কাজ শুরু হয়। সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল ১৭ তারিখে। তবে, টানা ১৩৬ ঘণ্টা ধরে কাজ চালিয়ে ভিডিয়োগ্রাফি সম্পন্ন করে আদালতের নিয়োগ করা কমিশন।
মামলাকারীর আর এক আইনজীবী বিষ্ণু জৈনের দাবি, একটি কুয়ো থেকে ১২ ফুট দীর্ঘ, ৪ ফুট চওড়া এবং ৩ ফুট পুরু শিবলিঙ্গ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর সহকর্মী সুভাষ নন্দন চতুর্বেদী জানান, কমিশনের তরফে সকালে কুয়ো থেকে জল তোলা হয়। সেখানেই শিবলিঙ্গ দেখতে পাওয়া গিয়েছে । শিবলিঙ্গটির আকার ‘নন্দীমুখী’ বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। তবে জ্ঞানব্যাপী মসজিদ পরিচালনকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির উকিল রইস আহমেদ আনসারি দাবি করেছেন, শিবলিঙ্গ’ সম্পর্কে আবেদনকারীর দাবি বিভ্রান্তিকর। অজুখানায় কোনও শিবলিঙ্গ নেই বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেছেন, “জ্ঞানব্যাপী মসজিদের অজুখানায় শুধু একটি ফোয়ারা রয়েছে। যে কাঠামোটিকে আবেদনকারী শিবলিঙ্গ বলে দাবি করছেন সেটি একটা ফোয়ারা। তাঁদের দাবি বিভ্রান্তিকর।”
অন্য দিকে জেলাশাসক কুশল রাজ শর্মা জানিয়েছেন, শেষ দিন ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধরে ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে। তিন দিন ধরে চলা পুরো কাজে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে দুই পক্ষ এবং এই প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্টও তাঁরা। ১৭ তারিখ পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। শিবলিঙ্গের খোঁজ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলাশাসক কোনও তথ্য দেননি। তিনি জানান, এই রিপোর্ট ‘আদালতের হেফাজতে’ রয়েছে।