Hathras stampede: বিষ ছিটিয়েছিল ১০-১২ জন! হাথরসের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় বড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

Hathras stampede: হাথরসে ধর্মসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বড়-সড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ! প্রায় ১৫-১৬ জনের একটি দল, ওই অনুষ্ঠানের সময় বিষ ছিটিয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন ভোলে বাবা। যে বাবাজিকে কেন্দ্র করে ওই ধর্মসভার আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেছেন, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেখে, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ওই ষড়যন্ত্রকারীরা।

Hathras stampede: বিষ ছিটিয়েছিল ১০-১২ জন! হাথরসের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় বড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
নয়া তত্ত্ব খাড়া করলেন ভোলে বাবাImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jul 07, 2024 | 5:41 PM

হাথরস: হাথরসে ধর্মসভায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বড়-সড় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ! প্রায় ১৫-১৬ জনের একটি দল, ওই অনুষ্ঠানের সময় বিষ ছিটিয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন ভোলে বাবা। যে বাবাজিকে কেন্দ্র করে ওই ধর্মসভার আয়োজন করা হয়েছিল। হাথরসের এই মর্মান্তিক ঘটনায় ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বেশ কয়েকটা দিন পরে, তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে ভোলে প্রচারক দাবি করলেন, তাঁর ধর্মসভা বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছিল কেউ বা কারা। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তারা সেখানে বিষ ছিটিয়েছিল। যাকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেছেন, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেখে, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ওই ষড়যন্ত্রকারীরা।

রবিবার, ভোলে বাবার আইনজীবী, এপি সিং দাবি করেছেন, “একটি মর্মা্তিক ঘটনা ঘটেছে। ১৫-১৬ জন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। আমরা ধর্মসভা আয়োজনের অনুমতি নিয়েছিলাম। অনুমতিপত্রের সঙ্গে মানচিত্রও সংযুক্ত ছিল। পদপিষ্ট হওয়ার জায়গাটিতে কিছু অজ্ঞাত পরিচয় যানবাহন ছিল। ১০-১২ জন বিষ ছিটিয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, মহিলারা পড়ে যাচ্ছিলেন এবং তাঁদের মধ্যে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এরপরই ওরা (ষড়যন্ত্রকারীরা) ওই জায়গা থেকে পালায়। এসআইটি এবং হাথরসর এসপি তদন্ত করছেন। সিসিটিভি ফুটেজগুলি বাজেয়াপ্ত করে ওই গাড়িগুলিকে চিহ্নিত করা উচিত। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল।”

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, আয়োজকরা সর্বাধিক ৮০,০০০ লোককে নিয়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি পেয়েছিল। তবে, সমাবেশে আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ধর্মোপদেশ শেষ করেই সভা থেকে চলে গিয়েছিলেন ভোলে বাবা। সেই সময় তাঁর ভক্তরা তাঁর আশীর্বাদ পেতে ছুটে গিয়েছিলেন। যে পথ দিয়ে তিনি হেঁটে গিয়েছিলেন, তার ধুলো সংগ্রহ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষ। তাতেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ২ জুলাইয়ের এই মর্মান্তিক ঘটনায় মোট ১১২ জন মহিলা এবং ৭ শিশু সহ ১২১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া, আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন।

এই ঘটনার পর থেকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি বাবাজিকে। এদিকে, তাঁর আইনজীবী এপি সিং জানিয়েছেন, তিনি আগাম জামিনের আবেদন করবেন না। কারণ, তাঁর মক্কেল নির্দোষ। প্রকাশ্য়ে না আসলেও, গত শনিবার অন্তরাল থেকেই ভোলে বাবা ওরফে সুরজ পাল সিং এই ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, “২ জুলাইয়ের ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। ঈশ্বর আমাদের এই যন্ত্রণা সহ্য করার শক্তি দিন। দয়া করে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আস্থা রাখুন। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। আমার আইনজীবী এপি সিং-এর মাধ্যমে, আমি কমিটির সদস্যদের শোকসন্তপ্ত পরিবার এবং আহতদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের সারা জীবন সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছি।”