Health Ministry on Quarantine: কমছে না একান্তবাসে থাকার সময়, কমিশনের কোর্টেই নির্বাচনী প্রচারের বল ঠেলল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

Health Ministry Briefing: বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের নির্দেশিকা মেনেই একান্তবাসে থাকার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। উপসর্গহীন হয়ে গেলেও, ওই নির্দিষ্ট সময় অবধিই একান্তবাসে থাকতে হবে।

Health Ministry on Quarantine: কমছে না একান্তবাসে থাকার সময়, কমিশনের কোর্টেই নির্বাচনী প্রচারের বল ঠেলল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে ভিড়। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 31, 2021 | 8:12 AM

নয়া দিল্লি: ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনে প্রথম খোঁজ মিলেছিল করোনা সংক্রমণের। ধীরে ধীরে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বিগত দুই বছরে করোনার উপসর্গ, সংক্রমণের ধরন, প্রকৃতিতেও এসেছে একাধিক পরিবর্তন। বর্তমানে আক্রান্তদের অধিকাংশই উপসর্গহীন হয়। ফলে সংক্রমণ চিহ্নিতকরণে ভরসা একমাত্র করোনা পরীক্ষাই। তবে উপসর্গহীন রোগীদের একান্তবাসে থারা জরুরি কিনা, তা নিয়ে কিছু সংশয় তৈরি হওয়ায়, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল যে, উপসর্গহীন হয়ে গেলেও একান্তবাসের মেয়াদ কমানো হবে না।

একান্তবাসে জোর কেন্দ্রের:

বিদেশ থেকে আগত বা করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরই বর্তমানে একান্তবাসে রাখা হচ্ছে। তবে অনেকেরই দাবি ছিল, যদি কোনও ব্যক্তি উপসর্গহীন হয়ে যান, তবে একান্তবাসের মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া উচিত। তবে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের নির্দেশিকা মেনেই একান্তবাসে থাকার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। উপসর্গহীন হয়ে গেলেও, ওই নির্দিষ্ট সময় অবধিই একান্তবাসে থাকতে হবে। মৃদু বা মাঝারি উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম জারি থাকবে।

কেন্দ্রের ব্যাখ্যা:

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব নভ আগরওয়াল বলেন, “আমরা এই মুহূর্তে সতর্কতা অবলম্বন করছি। যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের চিহ্নিতকরণ করে বাকিদের থেকে আলাদা করা হচ্ছে এবং বিগত কয়েকদিনে তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল, তাদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। একান্তবাসে থাকার সময় বা হাসপাতালে ভর্তির মেয়াদ কেন কমানো হচ্ছে না, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠচে। আমরা সাবধানতা অবলম্বন করতে চাই, তাই এই সিদ্ধান্ত জারি রয়েছে।”

নির্বাচনী প্রচার:

উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের মাঝেই ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে যে হারে নির্বাচনী প্রচার, মিছিল চলছে, তা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোনও পদক্ষেপ করবে কিনা, সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কমিশনের তরফে জানানো হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনই নিচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রক আলাদাভাবে কোনও পদক্ষেপ করবে না।

নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল বলেন, “গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, তা নিয়ে আমরা বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছি। তবে রাজনৈতিক প্রচার জারি রাখা উচিত কিনা, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশনই। আমরা নির্দেশিকা জারি করেছি এবং সকলকে তা অনুসরণ করার অনুরোধ জারি করা হয়েছে। বাকি সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।”

নির্বাচন নিয়ে কমিশনের মত:

গতকালই জাতীয় নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র (Sushil Chandra) সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, উত্তর প্রদেশের শাসক দল বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টি সহ ছোট-বড় সমস্ত রাজনৈতিক দলই নির্ধারিত সময়ে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন যাতে হয়, তার দাবি জানিয়েছেন।

টিকাকরণে জোর:

উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব সহ যে পাঁচ রাজ্যে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেখানে যাতে টিকাকরণের হার বৃদ্ধি করা হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেন, “উত্তর প্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই ইতিমধ্য়েই করোনা টিকা পেয়েছেন। রাজ্যে এখনও অবধি কেবল চারজন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।”

তিনি জানান, সমস্ত ভোটকর্মীদের অবশ্যই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত হতে হবে। একইসঙ্গে তাদের প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে গণ্য করা হবে এবং তারা যাতে দ্রুত বুস্টার বা প্রিকশন ডোজ় পান, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। রাজ্যের সমস্ত ভোটাররাও যাতে কমপক্ষে করোনা টিকার একটি ডোজ় পান, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য় নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।