SSC Case Supreme Court: ‘উত্তর দেয়নি SSC’, বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের, ঝুলে রইল ২৬০০০ চাকরি বাতিলের মামলা
Recruitment Case: পৃথকীকরণ সম্ভব হলে তবেই চাকরি বাতিল হওয়া উচিত, এমনটাই ছিল আদালতের পর্যবেক্ষণ। পৃথকীকরণ কীভাবে হবে, তা স্থির করার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত মে মাসের পর আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি।
নয়া দিল্লি: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পান তাঁরা। মে মাসের পর আজ, মঙ্গলবার ফের শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছিল, যোগ্যদের বাছাই করতে না পারলে, পুরো প্যানেল বাতিল করা যাবে না। দু মাস পর ফের সেই মামলার শুনানি হলেও তা ঝুলেই রইল। তিন সপ্তাহ পর ফের হবে শুনানি। মামলার সারসংক্ষেপ জানতে চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, রাজ্য আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় আনার জন্য চারজন নোডাল আইনজীবীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আস্থা শর্মা, শালিনী, কুণাল চট্টোপাধ্যায় ও পার্থ সিটকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। তিন সপ্তাহ পর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যাঁদের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করতে গিয়ে এদিন এসএসসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বোর্ড বহু ক্ষেত্রে উত্তর দেয়নি অথবা আদালতেই আসেনি। চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সিবিআইকে রিপোর্ট দিতে বলুন। নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি- সবকটি ক্ষেত্রে যাদের চাকরি চলে গিয়েছিল তাদের মামলা শোনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
যেহেতু অনেকগুলি বিষয় নিয়ে মামলা, তাই একসঙ্গে শোনা সম্ভব নয়। সেই কারণেই নোডাল আইনজীবীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়ে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি থাকছে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই যাচ্ছে। এদিন রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন রাকেশ দ্বিবেদী। স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সওয়াল করেন জয়দীপ গুপ্তা।