Heavy rain & Landslide: এক রাতের বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত ‘ঈশ্বরের নিজের দেশ’, বানভাসি তিরুবনন্তপুরম
Kerala flood: ২০১৮ সালে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছিল কেরল। সেবার তিরুবনন্তপুরম জেলার ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল। তারপর সেই দৃশ্য আর দেখা যায়নি। তবে এবার একরাতের বৃষ্টিতেই যেভাবে রাজধানী-শহর বানভাসী হয়েছে, সেটা ২০১৮ সালের স্মৃতি উসকে দিয়েছে।
তিরুবনন্তপুরম: দেবভূমির পর এবার দুর্যোগের কবলে ঈশ্বরের নিজের দেশ! মেঘভাঙা বৃষ্টি, পরপর ভূমিধসে কার্যত ধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে উত্তরাখণ্ড থেকে হিমাচল প্রদেশ। এবার বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত অবস্থা কেরলের (Kerala)। একরাতের টানা বৃষ্টিতেই বানভাসি হয়ে গিয়েছে কেরলের তিরুবনন্তপুরম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এর উপর ভূমিধস নেমেছে বহু জায়গায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Kerala CM)। রবিবার বানভাসি তিরুবনন্তপুরম শহর পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী ভি. সিবাকুট্টি। জেলাবাসীকে সতর্ক করে তিরুবনন্তপুরম-সহ কোল্লাম, পাথানামথিত্তা ও আলাপ্পুঝা জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন (IMD)।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয় কেরলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। যার জেরে বানভাসি অবস্থা তিরুবনন্তপুরম জেলার। এমনকি তিরুবনন্তপুরম শহরেরও রাস্তাঘাট, অধিকাংশ ঘর-বাড়ি জলের নীচে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “হঠাৎ করে মাঝরাতে ঘরে জল ঢুকতে শুরু করে। এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল।” পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে নীচু এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং সেগুলিতে ৫৭২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য প্রশাসন।
২০১৮ সালে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছিল কেরল। সেবার তিরুবনন্তপুরম জেলার ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল। তারপর সেই দৃশ্য আর দেখা যায়নি। তবে এবার একরাতের বৃষ্টিতেই যেভাবে রাজধানী-শহর বানভাসী হয়েছে, সেটা ২০১৮ সালের স্মৃতি উসকে দিয়েছে।
তিরুবনন্তপুরমের পাশাপাশি এর্নাকরুলাম জেলারও রাস্তাঘাট, ঘর-বাড়ি জলমগ্ন। এছাড়া কোল্লাম, পাথানামথিত্তা ও আলাপ্পুঝা জেলারও বহু এলাকা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিনই বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের মন্ত্রী ভি. সিবাকুট্টি ও কে. রঞ্জন। এরপর এদিন সকালেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক বসে। সেই বৈঠকের পর জেলা প্রশাসনকে বন্যা পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখা এবং ত্রাণের বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।