গান্ধীর হত্যাকারী গডসের নামে গ্রন্থাগার!

পাঠাগারের জন্য গোয়ালিয়রকেই নির্বাচনের পিছনেও যুক্তি দেখান তিনি। বলেন, "গান্ধীজীকে হত্যার পরিকল্পনা এখানে বসেই করেছিলেন গডসে। গোয়ালিয়র থেকেই তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং পিস্তল কিনেছিলেন।"

গান্ধীর হত্যাকারী গডসের নামে গ্রন্থাগার!
গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করছেন হিন্দু মহাসভার কর্মীরা। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Jan 11, 2021 | 7:19 PM

গোয়ালিয়র: আগেই দেশপ্রেমিকের আখ্যা পেয়েছিলেন, এবার তাঁর নামে একটি গ্রন্থাগারও তৈরি করা হল। তিনি আর কেউ নন, মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi)-র হত্যাকারী নাথুরাম গডসে (Nathuram Godse)। আর এই “দেশপ্রেমিক”-র নামে গ্রন্থাগার গড়ার নেপথ্যে কারিগর হল হিন্দু মহাসভা (Hindu Mahasabha)। মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়র (Gwalior) জেলায় দৌলতগঞ্জে তৈরি করা হয়েছে এই গ্রন্থাগার, নাম দেওয়া হয়েছে “গডসে জ্ঞানশালা”।

হিন্দু মহাসভার তরফে জানানো হয়, এই গ্রন্থাগারে নাথুরাম গডসের মাহাত্ম্য নিয়ে নানা রচনা, বক্তৃতা, মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার পরিকল্পনা ও দেশভাগ সংক্রান্ত নানা লেখনী পাওয়া যাবে। এই গ্রন্থাগারের সাহায্যেই বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েদের সামনে গডসের দেশভক্তি ও আদর্শ তুলে ধরা হবে। হিন্দু মহাসভার জাতীয় সহসভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ বলেন, “সমগ্র বিশ্বের কাছে গডসে কত বড় দেশপ্রেমিক ছিলেন, তা তুলে ধরার জন্যই এই পাঠাগারটি খোলা হয়েছে। দেশভাগের নানা অজানা তথ্য সহ হারিয়ে যাওয়া অনেক বিপ্লবীদেরও তুলে আনা হবে এই জ্ঞানশালার মাধ্যমে।”

হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রধানের দাবি, “জওহরলাল নেহেরু ও মুসলিম লিগের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার কারণেই ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়েছিল। তাঁরা দুজনই দেশের প্রধান হতে চেয়েছিলেন। তাঁদের উচ্চাকাঙ্খার কারণেই দেশভাগ হয়েছিল। কংগ্রেস ভারতকে দুই টুকরোয় ভেঙে জিন্না ও নেহেরুকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। নাথুরাম গডসে এর বিরোধিতা করেছিলেন। ”

আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন পেতে রাজনীতিবিদরা যেন বেশি লম্ফঝম্ফ না করেন: প্রধানমন্ত্রী

তিনি আরও যোগ করে বলেন, “আমরা চাই দেশের নতুন প্রজন্ম সত্যিটা জানুক এবং জাতীয়তাবাদের প্রতি দায়িত্ব নিক। যুব সম্প্রদায় যাতে দেশভাগ নিয়ে গডসের বিরোধীতার কারণ সম্পর্কে জানতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই গ্রন্থাগার খোলা।” পাঠাগারের জন্য গোয়ালিয়রকেই নির্বাচনের পিছনেও যুক্তি দেখান তিনি। বলেন, “গান্ধীজীকে হত্যার পরিকল্পনা এখানে বসেই করেছিলেন গডসে। গোয়ালিয়র থেকেই তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং পিস্তল কিনেছিলেন।”

তবে গান্ধীজীর হত্যাকারীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে কেবল পাঠাগারই নয়, এর আগে হিন্দু মহাসভার প্রধান অফিসে একটি মন্দির তৈরি করা হয়। সেখানে নাথুরাম গডসের মূর্তিও স্থাপন করা হয়। পরে প্রতিবাদের মুখে পড়ে তা সরিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কখনও ধমক, কখনও ভর্ৎসনা, কখনও হুঁশিয়ারি – কৃষি মামলায় হাল ধরল সুপ্রিম কোর্টই