নিজামের শহরে উড়ছে গেরুয়া পতাকা, এবার কি তবে তেলেঙ্গানা

যে ৪৮টি আসন বিজেপি জিতেছে, তার মধ্যে ৬টি আসন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চারমিনার ডিভিশনের।

নিজামের শহরে উড়ছে গেরুয়া পতাকা, এবার কি তবে তেলেঙ্গানা
Follow Us:
| Updated on: Dec 05, 2020 | 10:58 AM

হায়দরাবাদ: বিহারের পর এবার কি তাহলে তেলেঙ্গানা। গ্রেটার হায়দরাবাদের পুরভোটে বিজেপির উত্থান উস্কে দিচ্ছে সে প্রশ্নই। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, নিজামের শহরে এবার কি তাহলে হিন্দুত্বের হাওয়া ঢুকতে শুরু করল। গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ১৫০ আসনের মধ্যে এখনও অবধি ১৪৯টি আসনের ফল প্রকাশিত। ব্যালট পেপার সংক্রান্ত কিছু সমস্যা থাকায় একটি আসনে গণনা স্থগিত রাখা হয়। এখনও অবধি ৫৫টি আসন নিজেদের দখলে রেখে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS)। উল্লেখযোগ্যভাবে এরপরই রয়েছে বিজেপির স্থান। ৪৮টি আসন নিজেদের দখলে রেখেছে তারা।

২০১৬ সালে গ্রেটার হায়দরাবাদের ভোটে বিজেপি হাতে পেয়েছিল মাত্র চারটি আসন। সেবার টিআরএস পেয়েছিল ৯৯টি। সেদিক থেকে টিআরএস-এর শক্তি অনেকটাই খর্ব হয়েছে। ম্যাজিক ফিগারের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেনি কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল। বরং মাথা চাড়া দিয়েছে বিজেপি। থাবা বসিয়েছে টিআরএস-এর ভোট ব্যাঙ্কে।

শুধু টিআরএস কেন বিজেপির শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএমকেও। বিহার ভোটে খাতা খুলে বাংলা দখলের যে হুঙ্কার ওয়েইসির মুখে শোনা গিয়েছিল, নিজের ভূমিতেই তা ম্লান। ৪৪টি আসন পেয়েছে তারা। যে ৪৮টি আসন বিজেপি জিতেছে, তার মধ্যে ৬টি আসন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চারমিনার ডিভিশনের। বিজেপি নেতারা বলছেন, তেলেঙ্গানার মানুষ যে বিজেপিকেই চাইছে তা এই ফলাফলে স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: কৃষক আন্দোলনে তাতছে দিল্লি, আজ বৈঠকে সমাধান না মিললে ঘেরাও হবে সংসদ

পুরভোট হলেও বিজেপি কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে কোনও খামতি রাখেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে গিয়েছেন প্রচারে। সর্বক্ষণ পড়ে থেকেছেন সভাপতি জেপি নড্ডা। হিন্দুত্বের ধ্বজা উড়িয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলে এসেছেন, এ রাজ্যের প্রস্তাবিত নাম ভাগ্য়নগরের কথা।

তেলেঙ্গানার বিজেপি নেতা বন্দি সঞ্জয় কুমারের বক্তব্য “নভেম্বরের ১০ তারিখ দুব্বাকার উপনির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ঘরের ছেলে টি হরিশ রাওকে হারিয়েছে। হায়দরাবাদের ভোটেও বিজেপির জয় জয়কার। আসলে কেসিআর কিংবা টিআরএস-এর গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।”