Amit Shah: আজ ত্রিপুরায় গোলাগুলির বদলে রেল আর বিমানের শব্দ শোনা যায়: শাহ
শান্তিরবাজারে জনসভার মধ্য দিয়ে এদিনের নির্বাচনী প্রচারের প্রথম কর্মসূচি শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ত্রিপুরাসুন্দরীকে প্রণাম জানিয়েই বক্তব্য শুরু করেন শাহ।
আগরতলা: ত্রিপুরা নির্বাচনের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। রাজ্য ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তাই এবার একেবারে নির্বাচনী ময়দানে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার ত্রিপুরায় একাধারে দুটি জনসভা এবং এক পদযাত্রা করবেন বিজেপির তথাকথিত সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। শান্তিরবাজারে জনসভার মধ্য দিয়েই নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন। আর বক্তব্যের শুরু থেকেই চাঁচাছোলা ভাষায় পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে কটাক্ষ করলেন অমিত শাহ। একনজরে শাহের বক্তব্য…
- মোদীজির নেতৃত্বে বিজেপিকে সরকারে আনার আবেদন জানিয়ে ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মা তরম’ ধ্বনি দিয়ে বক্তব্যের সমাপ্তি শেষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
- ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিকাঠামো, আদিবাসীদের বিকাশ একমাত্র বিজেপি করতে পারে। পুনরায় কমিউনিস্টের শাসন না চাইলে পদ্ম প্রতীকে ভোট দিন।
- আগামী ৫ বছরে ত্রিপুরার আদিবাসীদের সবচেয়ে বেশি বিকাশ হবে।
- ৫ বছর ধরে ত্রিপুরায় শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছে বিজেপি সরকার। আগামী ৫ বছরে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তিস্থাপন করব আমরা।
- মাতৃভাষায় শিক্ষায় আমরা জোর দিয়েছি। গারো, মণিপুরী, বিষ্ণুপুরী ভাষায় শিক্ষা দেওয়ার কাজ বিজেপি শুরু করেছে।
- আজ পর্যন্ত কংগ্রেস সরকার কৃষকদের থেকে চাল কেনেনি। আমরা সরাসরি কৃষকদের চাল কিনেছি এবং তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দাম দিয়েছি।
- ১০ লক্ষ মানুষকে রাষ্ট্রীয় বিমার সুবিধা দিয়েছি।
- এবারের বাজেটে কেবল আদিবাসী শিশুদের জন্য ৭৪০ মডেল স্কুল করার কথা ঘোষণা করেছি।
- দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৫ বছরে কখনও আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হয়নি। আমরা এক দরিদ্র আদিবাসী ঘরের মহিলাকে রাষ্ট্রপতি করিয়েছি। আদিবাসীদের উন্নয়নে সারা দেশে ৩১ হাজার বাজেট বাড়িয়ে ৮৬ হাজার বরাদ্দ করেছি।
- সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি স্থাপনে মোদী সরকার বিশেষ তৎপর হয়েছে। ত্রিপুরায় আজ গোলাগুলির বদলে রেল আর বিমানের শব্দ মেলে। ৪০ হাজার আদিবাসীকে স্থায়ী চাকরি দিয়েছি।
- ৫০ বছরে ৭৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়েছিল। সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ১১৮টি করেছি আমরা। আর ২৩৮টি নতুন অ্যাম্বুলেন্স নামাচ্ছি।
- মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ৫০ শতাংশ কমেছে। সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি।
- বাম ও কংগ্রেসের ৫০ বছরের সরকার মা-বোনেদের জন্য মাত্র ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। বিজেপি সরকার সেটি বাড়িয়ে ৫৬২ হাজার কোটি বরাদ্দ করেছে।
- ত্রিপুরায় শিল্প আসছে। মোদীজি যে হীরার মন্ত্র দিয়েছিলেন, হাইওয়ে, বিমানবন্দর, ইন্টারনেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেই কাজ করতে বিজেপি বদ্ধপরিকর।
- আদিবাসীদের অধিকার দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বিজেপি সরকার। তোলাবাজির পরম্পরাকে বন্ধ করে দিয়েছি।
- ৫ বছরে ত্রিপুরায় বদল এসেছে। আগে উগ্রবাদ, ড্রাগ পাচার, মানব পাচার, ভ্রষ্টাচার, আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চলত। বিজেপির দুই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দে ও মানিক সাহার তৎপরতায় এই সমস্ত বন্ধ হয়েছে। প্রতিটি ঘরে জল, বিদ্যুৎ, গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছেছে। সুরক্ষার বাতাবরণ এসেছে।
- কংগ্রেস সবসময় বিবাদ করে। আমরা বিবাদের বদলে বিশ্বাস দিয়েছি। ত্রিপুরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেছি।
- শান্তিরবাজারে জনসভায় বক্তব্যের শুরু থেকেই চাঁচাছোলা ভাষায় কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, কংগ্রেসের জমানায় প্রতিটি বাড়িতে জল, গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছয়নি। নরেন্দ্র মোদী সরকার সেটা করিয়েছে।
- শান্তিরবাজারে জনসভার মধ্য দিয়ে এদিনের নির্বাচনী প্রচারের প্রথম কর্মসূচি শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ত্রিপুরাসুন্দরীকে প্রণাম জানিয়েই বক্তব্য শুরু করেন শাহ।