অক্সিজেনের ঘাটতি নেই, বেডও খালি মহারাষ্ট্রের এই জেলায়! নেপথ্যে আইএএস অফিসারের প্ল্যান
গোটা রাজ্য়ে যখন হুড়ুমুড়িয়ে বাড়ছে সংক্রমণ তখন কোন কৌশলে এই ভিন্ন ছবি নান্দুরবারে? এর নেপথ্যে রয়েছেন একজন। তিনি জেলাশাসক রাজেন্দ্র ভারুদ (Dr Rajendra Bharud )।
দেশ: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ত্রস্ত সারা দেশ। আর তার মধ্যে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের নাম মহারাষ্ট্র। অক্সিজেন, করোনা বেডের অভাবে সেখানে কার্যত মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। তবে আতঙ্কগ্রস্ত এই রাজ্যেরই তফশিল অধ্যুষিত নান্দুরবারের ছবি একেবারেই আলাদা। এখানে তাৎপর্যপূর্ণভাবে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা অনেক কম। নেই অক্সিজেনের চাহিদাও। এমনকি কোভিড হাসপাতালের শয্যাও খালি। গোটা রাজ্য়ে যখন হুড়ুমুড়িয়ে বাড়ছে সংক্রমণ তখন কোন কৌশলে এই ভিন্ন ছবি নান্দুরবারে? এর নেপথ্যে রয়েছেন একজন। তিনি জেলাশাসক রাজেন্দ্র ভারুদ (Dr Rajendra Bharud )।
কীভাবে এই কাজ করেছেন চিকিৎসক থেকে আমলা হওয়া রাজেন্দ্র?
করোনার প্রথম ঢেউতেও বেসামাল পরিস্থিতি হয় মহারাষ্ট্রের। তৈরি হয়েছিল অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা। আর সেখান থেকেই শিক্ষা নিয়েই জেলাসাসক ভারুদ অক্সিজেন প্ল্য়ান্ট বসানোর কাজ শুরু করেছিলেন। একটি প্ল্যান্ট কাজ করছে। আরও একটির কাজ শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি। করোনার প্রথম পর্যায়ে রাজেন্দ্র ভারুদ বুঝতে পেরেছিলেন অতিমারির সময়ে যখন-তখন অক্সিজেনের চাহিদা বাড়বে। তাই নিজের উদ্যোগে বসিয়েছিলেন অক্সিজেন প্ল্য়ান্ট। যেখানে মিনিটে ৬০০ মিলিলিটার অক্সিজেন উৎপাদন হয়।
ভারুদের দূরদৃষ্টি প্রমাণিত হল কয়েক মাসেই। সারা মহারাষ্ট্রে যখন করোনার গ্রাফ ক্রমশ উর্ধমুখী তখন, নান্দুরবারে ছবি ভিন্ন। এখানকার করোনা হাসপাতালে ভিন রাজ্য ও জেলা থেকে করোনা রোগী এসে এখন ভর্তি হচ্ছেন।
শুধু তাই নয়, ২০১৩ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার স্কুল ও কমিউনিটি হলগুলিকে কোভিড আইসোলেশন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করেছেন আগেভাগে। রয়েছে একটি ৭ হাজার শয্যার আইসোলেশন কেন্দ্র। সেখানে ১,৩০০ শয্যা আছে। পাশাপাশি মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালের এই প্রাক্তনী রোগীদের সুবিধার্থে সর্বদা ২৭টি অ্যাম্বুল্য়ান্স তৈরি রেখেছেন। জেলার প্রতিটি প্রান্তে ওষুধপত্র পৌঁছে দিতে ১৬টি গাড়ি প্রস্তুত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: দেওয়া হচ্ছে হুমকি, সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালাকে ‘ওয়াই ক্যাটাগরি’ নিরাপত্তা দিচ্ছে কেন্দ্র
ছোটবেলায় বাবাকে হারানো মহারাষ্ট্রের এক অখ্যাত গ্রাম থেকে উঠে আসা চিকিৎসক থেকে আমলা হওয়া রাজেন্দ্র ভারুদ এভাবেই রক্ষা করছেন মহারাষ্ট্রের তফশিলি অধ্যুষিত ছোট্ট জেলাটিকে।