একের পর এক হাসপাতালের প্রত্যাখ্যান, গাড়িতেই ৩ ঘণ্টা পড়ে থেকে মৃত্যু হল করোনা রোগীণীর
নয়ডার জিআইএমস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই তরুণীকে। সেখানে তাঁকে গাড়িতে বসিয়েই বাড়ি মালিক বেডের খোঁজে যান। হাজারো কাকুতি মিনতি করা সত্ত্বেও বেড বা সামান্য অক্সিজেনও মেলেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করার পরই মৃত্যু হয় ওই তরুণী।
নয়া দিল্লি: করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই বারবার বলছিলেন দমবন্ধ হয়ে আসছে। বড় কোনও বিপদের আশঙ্কাতেই বাড়ির মালিক ৩৫ বছরের ওই তরুণীকে নিজের গাড়িতে করে নিয়েই শহরের একমাত্র থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে বেরাচ্ছেন একটি বেড ও অক্সিজেনের আশায়। কিন্তু সব জায়গা থেকেই উত্তর মিলছিল একই, জয়গা নেই, অক্সিজেন নেই। এই পরিস্থিতিতেই গাড়িতে বসে থেকেই মৃত্যু হল করোনা রোগীর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের নয়ডার বাসিন্দা বছর ৩৫-র ওই মহিলা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর স্বামী ও দুই সন্তান মধ্য প্রদেশে থাকেন। সম্প্রতি তিনি করোনা আক্রান্ত হন। যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ির মালিকই তাঁর দেখাশোনা করছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রবল শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর চেষ্টা করা হয়।
বহু হাসপাতাল থেকে প্রত্যাখিত হওয়ার পর তাঁকে সরকারি জিআইএমস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ওই তরুণীকে গাড়িতে বসিয়েই বাড়ি মালিক বেডের খোঁজে যান। হাজারো কাকুতি মিনতি করা সত্ত্বেও বেড বা সামান্য অক্সিজেনও মেলেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করার পরই মৃত্যু হয় ওই তরুণী।
এই বিষয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমি গাড়ির সামনে দাড়িয়েছিলান এবং ওনার বাড়ির মালিক সাহায্যের জন্য চারদিকে ছোটাছুটি করছিলেন। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ উনি (করোনা রোগী) সংজ্ঞা হারান। হাসপাতালের রিশেপসনে গিয়ে খবর দিতেই করমীরা ছুটে আসেন এবং পরীক্ষা করে জানান যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।”
সম্প্রতিই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, রাজ্যে অক্সিজেন বা শয্যার কোনও ঘাটতি নেই। নয়ডা কর্তৃপক্ষের তরফেও প্রকাশিত হাসপাতালে কত বেড ফাকা রয়েছে. এমন একটি ওয়েবসাইটে ২৫৬৮ টি বেড ফাকা থাকলেও হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে জানা যায়, কোথাও কোনও বেড ফাঁকা নেই। বর্তমানে নয়ডায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৮২০০। মোট মৃত্যু হয়েছে ২১২ জনের।
আরও পড়ুন: সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, কী বার্তা দিলেন?