Chocolate Gift at Divorce case hearing: প্রেম দিবসে ডিভোর্সের শুনানিতে স্ত্রীকে চকোলেট উপহার স্বামীর, তারপর…
Divorce case at Vallentine's day: যুবতীর গলায় ঝরে পড়েছে আক্ষেপের সুর। মক্কেলের কথা তুলে ধরে যুবতীর আইনজীবী অশ্বিন যোগাদিত্য জানান, "উনি (যুবতী) বলছেন যদি তিনি (স্বামী) সত্যিই ভালবাসতেন তাহলে প্রতিদিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন করতেন। কিন্তু, গত দু-বছরে একবারও তিনি এরকম কোনও কাজ করেননি। তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বা দেখা করতেও আসেননি।"
সুরাট: ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে যেন নতুন করে মন দেয়া-নেওয়ায় মেতে ওঠে যুগল। একে-অপরের হাতে তুলে দেয় পছন্দের উপহার। পুরানো ঝগড়া থাকলেও যেন মিটে যায় এই ভালবাসার মরশুমে। এরকমটা ভেবেছিলেন সুরাটের ২৭ বছরের যুবকও। তাই ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলার শুনানির সময় স্ত্রীর মন খুশি করতে তাঁকে চকোলেট উপহার দিলেন স্বামী। যা দেখে তাজ্জব হয়ে যান কোর্টরুমে উপস্থিত ওই মহিলার পরিবার থেকে আইনজীবীও।
ভদোদরার তরুণীর সঙ্গে ২০২০ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন সুরাটের ওই যুবক। তাঁদের মধ্যে বয়সে মাত্র ২ বছরের পার্থক্য। কিন্তু, সম্পর্কের দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। তাই সম্প্রতি স্বামী এবং তাঁর ঠাকুরদা, ঠাকুমার বিরুদ্ধে দাম্পত্য হিংসার মামলা দায়ের করেন ২৭ বছরের ওই যুবতী। বধূর অভিযোগ, তাঁর স্বামী এবং স্বামীর ঠাকুরদা, ঠাকুমা মিলে ৫ লক্ষ টাকা পণ দাবি করেন। সেটা দিতে না পারায় তাঁর উপর অত্যাচার চালানো হয় বলেও অভিযোগ। প্রথমদিকে মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করেও সংসার করতে চেয়েছিলেন ওই যুবতী। কিন্তু, অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বাড়ে যে বিয়ের মাস চারেক পরই স্বামী, সংসার ছেড়ে বাপেরবাড়িতে চলে আসতে বাধ্য হন তিনি। এরপরই বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। তাঁর স্বামীর মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা। তাই তিনি মাসিক ৩০ হাজার টাকা খোরপোষের দাবি জানিয়েছেন।
বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা দায়ের হতে অবশ্য টনক নড়েছে স্বামীর। পারিবারিক আদালতে মামলাটি উঠেছে। বুধবার, ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে বিচারক তাঁদের মামলাটি আপাতত স্থগিত রেখেছেন। এরপরই ভরা কোর্টরুমে স্ত্রীকে চকোলেট দিয়ে তাঁর অভিমান ভাঙানোর চেষ্টা করেন সুরাটের যুবক।
যদিও স্বামীর দেওয়া সেই চকোলেট গ্রহণ করেননি যুবতী। তাঁর পরিবার থেকে আইনজীবীরা অনুরোধ করলেও স্বামীর ভালবাসা তিনি গ্রহণ করতে পারেননি। বরং যুবতীর গলায় ঝরে পড়েছে আক্ষেপের সুর। মক্কেলের কথা তুলে ধরে যুবতীর আইনজীবী অশ্বিন যোগাদিত্য জানান, “উনি (যুবতী) বলছেন যদি তিনি (স্বামী) সত্যিই ভালবাসতেন তাহলে প্রতিদিন ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন করতেন। কিন্তু, গত দু-বছরে একবারও তিনি এরকম কোনও কাজ করেননি। তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বা দেখা করতেও আসেননি।”