নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১২ বছরের কিশোরের, দেশ জুড়ে নয়া আতঙ্ক

কেরলে ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হচ্ছে করোনার গ্রাফ, এরই মধ্যে নিপা ভাইরাসে মৃত্যুর খবরে বেড়েছে আতঙ্ক।

নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১২ বছরের কিশোরের, দেশ জুড়ে নয়া আতঙ্ক
বাদুড়েই পাওয়া যায় নিপা ভাইরাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 9:40 AM

তিরুঅনন্তপুরম: কেরলের উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ এমনিতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এরই মধ্যে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। অসুস্থ অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ওই কিশোরকে। রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। রবিবার সকালে ব্যর্থ হয় চিকিৎসকদের শেষ চেষ্টা। গত শুক্রবার প্রথম ওই কিশোরের মধ্যে নিপা ভাইরাসের কিছু উপসর্গ দেখা যায়। এরপরই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দু’দিনের মধ্যে মৃত্যু হল তার।

ওই কিশোরের শরীরে যে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছিল তা নিশ্চিত করেছে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির রিপোর্ট। জানা গিয়েছে ওই কিশোরের শরীরে এনসেফালাইটিস এবং মায়োকার্ডিটিসের মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিনা জর্জ জানিয়েছেন ১২ বছরের ওই কিশোরকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাতেও কোনও সুরাহা না হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই কিশোরীকে।

করোনা সংক্রমনের মধ্যেই এই নিপা ভাইরাসের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেরলের প্রশাসন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বীনা জর্জ জানিয়েছেন, গতকালই নিপা ভাইরাস নিয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন তিনি। জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক রাও ছিলেন সেই বৈঠকে। কী ভাবে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় তাদের মধ্যে। নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষ আধিকারিকও নিয়োগ করা হয়েছে। কোঝিকোড়ে পরিদর্শনে যাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কেরলের আর এক মন্ত্রী পিএ মহম্মদ রিয়াজও থাকবেন তাঁর সঙ্গে। তবে সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বিনা জর্জ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত আতঙ্ক ছড়ানোর কিছু হয়নি সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ওই কিশোরীর পরিবারের কারও কোনও সংক্রমণ বা কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাধারণত পশু ও মানুষের মাধ্যমে একে অপরের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে নিপা। শূকর, বাদুড়ের মাধ্যমেও ছড়ায় এই মারণ ভাইরাস। বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পাই এই অতি মারণ ভাইরাস। তাই বারবার সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। বিজ্ঞানের ভাষায় এটি একটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর জুনটিক ভাইরাস। নিপায় মৃত্যুহারও অত্যন্ত বেশী। মাঝারি থেকে অধিক জ্বর মস্তিষ্কে সমস্যা নিপার প্রভাবে হয়ে থাকে। ৪ থেকে ১৪ দিন উপসর্গ থাকে। চরম পরিণতি মৃত্যু। নিপার ফলে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, কফ জমা, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও বমি হতে পারে। আরও পড়ুন: ঘুটঘুটে কালো অন্ধকারের মধ্যে শুধু জ্বলত দুটো চোখ, আলো ফেলতেই ঝলসে যেত! ধরা পড়ল চা বাগানের বিভীষিকা