তালিবদের সমর্থন করতে মরিয়া বাম-কংগ্রেস! বিস্ফোরক বিজেপি নেতা

বিজেপি নেতার দাবি, রাজ্যে যখন চরমপন্থী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন দায়িত্বহীনেরমতো আচরণ করছে রাজনৈতিক দলগুলি।

তালিবদের সমর্থন করতে মরিয়া বাম-কংগ্রেস! বিস্ফোরক বিজেপি নেতা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 12:04 PM

তিরুঅনন্তপুরম: মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলি তালিবদের সমর্থন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আফগানিস্তানে যখন থেকে তালিবান দখল নিতে শুরু করেছে সেই সময় থেকেই তালিবানের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করছে বেশ কয়েকটি দল। এমনটাই দাবি করলেন কেরলের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন। শনিবার বাম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কেরলে ক্ষমতায় থাকা সিপিএম নেতৃত্বাধীন সরকার ও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধীরা এক অন্যরকমের রাজনীতির খেলা শুরু করেছে তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে।

এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কেরলের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলি তালিবানকে সমর্থন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর রাজ্যের রাজনৈতিক নেতারা ধর্মীয় চরমপন্থায় ক্রমশ মদত দিয়ে চলেছে।’ বিজেপি নেতার দাবি একদিকে যখন চরমপন্থী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, কেরলে তখন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত আচরণ করছে বাম সরকার। সম্প্রতি একদল কাশ্মীরি যুবকের কাছ থেকে লাইসেন্সবিহীন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, সে কথা এ দিন মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন।

অন্যদিকে, সম্প্রতি কেরলে মাথাচাড়া দিয়েছে মোপলা বিদ্রোহ নিয়ে বিতর্ক। এ দিন সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন সুরেন্দ্রন। ১৯২১ সালে যে মালাবার রিবেলিয়ন বা মোপলা বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়েছিল সেই প্রসঙ্গ উঠে এসেছে নতুন করে। ওই বিদ্রোহীরা কি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল? নাকি এটা একটা ধর্মীয় অশান্তি ছিল? তা নিয়েই বেধেছে বিতর্ক। কেরলের সিপিএম দাবি করেছে যে ওই মোপলা বিদ্রোহীরাই সবথেকে সুসংগঠিতভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। অন্যদিকে, কংগ্রেস মনে করছে যে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এক উজ্জ্বল প্রতিবাদ ছিল এই মোপলা বিদ্রোহ। কিন্তু এই বিদ্রোহকে মান্যতা দিতে নারাজ বিজেপি ও আরএসএস। তাদের দাবি ভারতে ওই প্রথম তালিবান মানসিকতার সূত্রপাত হয়েছিল। তাই মোপলা বিদ্রোহ কে স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ হিসেবে বর্ণনা করায় ঘোর আপত্তি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাবুলের বিস্ফোরণের ঘটনায় কেরলের যোগ সামনে এসেছিল। বিমানবন্দরে বিস্ফোরণে শতাধিক মৃত্যু হয়েছিল। আর সেই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে কেরলের যোগ সামনে আসে। জানা যায়, যারা এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে অর্থাৎ ইসলামিক স্টেট অব খোরাসানের সদস্য হয়েছেন, এমন ১৪ জনের আদি বাড়ি কেরলে। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পথে সমস্ত জেল থেকে বেশ কয়েকজন কয়েদিকে মুক্তি দিয়েছিল তালিবান। সূত্রের খবর, সেই সময় আরও অনেকের সঙ্গে ওই বাঘরাম জেল থেকে বেরিয়ে আসে অন্তত ১৪ জন আইএস সদস্য। আর তাদেরই বাড়ি কেরলে।

১৪ জনের মধ্যে একজন কেরলে থাকা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। বাকি ১৩ জনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয় এই কয়েকজন। কেরলের মলপ্পুরম, কাসরগৌড় এবং কন্নর জেলা থেকে বহু যুবক ইসলামিক ষ্টেট সংগঠনে যোগ দিতে গোপনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় বলেও জানা যায়। আরও পড়ুন: বরাদরকে বাদ দিয়েই সরকার গঠন চায় পাকিস্তান? আচমকা কাবুলে হাজির আইএসআই প্রধান