‘তালিবানের জন্য বাড়ছে তেলের দাম’, ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপি নেতা

বিশ্ব জুড়ে তেলের অভাব দেখা দিয়েছে। তাই নাকি এই মূল্যবৃদ্ধি। এমনটাই দাবি ওই নেতার।

'তালিবানের জন্য বাড়ছে তেলের দাম', ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপি নেতা
প্রতীক ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 10:25 AM

নয়া দিল্লি: দেশ জুড়ে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি চরমে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা পার করে গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন এক বিজেপি নেতা। তেলের দাম বাড়ছে কেন, এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি টেনে আনলেন তালিবানকে। দায় ঠেললেন তালিবানের দিকে। কর্নাটকের বিজেপি নেতা অরবিন্দ বালাডের দাবি তালিবানের জন্যই নাকি বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। আফগানিস্তান তালিবান নতুন করে ফেরাই নাকি মূল্যবৃদ্ধির কারণ।

পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে দিন থেকে তালিবান একটু একটু করে আফগানিস্তানে দখল নিতে শুরু করেছে সেই সময় থেকেই গোটা বিশ্বে তেলের অভাব দেখা দিয়েছে আর তার জেরেই বিশ্ব জুড়ে এ ভাবে তেলের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। গোটা বিশ্বে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেই একে একে ডিজেল-পেট্রোল বা রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন কর্নাটকের ওই বিজেপি নেতা।

এটা ঠিক যে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক  বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর সেই বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে সম্পূর্ণ। বিপুল টাকার আমদানি-রফতানিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে তেলের কোনও আদান-প্রদান হত বলে জানা যায়নি। ভারত থেকে আফগানিস্তানে অনেক জিনিস রফতানি করা হতো এবং আফগানিস্তান থেকে ভারত বহু জিনিস আমদানিও করত। তবে জ্বালানি তেল দুই দেশের মধ্যে আদান-প্রদান হয়েছে বলে জানা যায় না।

মূলত সৌদি আরবম আরব আমিরশাহী ও ইরাক থেকে তেল আমদানি করে ভারত। বিশ্বের তেল আমদানিকারী দেশগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। আমেরিকা ও চিনের পর ভারতই সবথেকে বেশি তেল আমদানি করে। আমেরিকা নাইজেরিয়া ও কানাডা থেকেও কিছু তেল আমদানি করে ভারত। তবে তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক থাকার কোনও ব্যাখ্যা এখনও দেননি কেউ।

গত মাসে এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী সরকারের ‘ভুলের’ কারণেই পেট্রোপণ্যের দামে কাটছাঁট করতে পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি দাবি করেন, যদি না কংগ্রেসের বিক্রি করা তেলের বন্ডের বাড়তি সুদ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে মেটাতে হত তাহলে মূল্যবৃদ্ধি এত বেশি হত না। তিনি জানান, মনমোহন সিং সরকার দেশের বিভিন্ন তেল সংস্থাকে তেলের বন্ড বিক্রি করেছিল। যে কারণে এখন সেই বন্ডের সুদ মেটাতি গিয়ে আর আমজনতাকে জ্বালানির দামে ছাড় দিতে পারছেন না তিনি। ওই বন্ড বাজারে ছাড়া না হলে আর সুদ মেটাতে না হলে তিনি অবশ্যই জ্বালানির দাম কমাতেন। আরও পড়ুন: ‘ওঁরা তো গরু-ছাগল নন, যে বেঁধে রাখব…’, সৌমেনের তৃণমূল যোগে চরম কটাক্ষ দিলীপের