আজ বিজেপির সদর দফতরের বাইরে INDIA জোটের বিক্ষোভ

INDIA alliance to protest outside BJP headquarters: শুক্রবার (২৯ মার্চ), নয়া কর্মসূচি নিল ইন্ডিয়া জোট। জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অরবিন্দ কেজরীবালের গ্রেফতারি এবং নির্বাচনী বন্ড ইস্যু নিয়ে এদিন নয়া দিল্লির ভারতীয় জনতা পার্টির সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে ইন্ডিয়া জোট। গত ২১ মার্চ রাতে দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায়, অরবিন্দ কেজরীবালকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট।

আজ বিজেপির সদর দফতরের বাইরে INDIA জোটের বিক্ষোভ
কেজরীবালের গ্রেফতারিকে এককাট্টা ইন্ডিয়া জোটImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2024 | 10:49 AM

নয়া দিল্লি: ৩১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে রামলীলা ময়দানে যৌথ সমাবেশ করার কথা ইন্ডিয়া জোটের। তবে, তার আগেই শুক্রবার (২৯ মার্চ), নয়া কর্মসূচি নিল ইন্ডিয়া জোট। জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অরবিন্দ কেজরীবালের গ্রেফতারি এবং নির্বাচনী বন্ড ইস্যু নিয়ে এদিন নয়া দিল্লির ভারতীয় জনতা পার্টির সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে ইন্ডিয়া জোট। গত ২১ মার্চ রাতে দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায়, অরবিন্দ কেজরীবালকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। তারপর থেকে ইডির হেফাজতেই আছেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর ইডি হেফাজতে থাকার মেয়াদ আরও চারদিন বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, রামলীলা ময়দানে এক বিশাল সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। জোটের কর্মসূচি হলেও মূল আয়োজক আম আদমি পার্টিই। গত রবিবার (২৪ মার্চ) আপের দিল্লির আহ্বায়ক গোপাল রাই জানিয়েছিলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ৩১ মার্চ রামলীলা ময়দানে একটি বিশাল সমাবেশ করবে ইন্ডিয়া জোট। জোটের প্রায় সকল বিশিষ্ট নেতার এই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা। গোপাল রাই বলেছিলেন, এই কর্মসূচি গণতন্ত্র এবং দেশকে রক্ষার লড়াই। দেশের স্বার্থ রক্ষায় এবং গণতন্ত্রকে বাঁচাতে করতে ইন্ডিয়া জোটের সবকটি শরিক দল এই ‘মহাযুদ্ধে’ যোগ দেবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এই সভা আয়োজনের অনুমতি নাও দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জোটের নেতারা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইডি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অরবিন্দ কেজরীবালকে আরও ৭ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল। আদালত সাতদিনের অনুমতি না দিলেও, হেফাজতের মেয়াদ ১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আদালত জানায়, কেজরীবালকে হেফাজতে রাখার পক্ষে ইডি যথেষ্ট কারণ দেখিয়েছে। ইডি জানিয়েছিল, কেজরীবালের বিবৃতি রেকর্ড করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বেশ কিছু বিষয়ে তিনি কোনও জবাব দেননি। এই মামলার তদন্তে, আরও যাদের নাম জড়িয়েছে, তেমন কয়েকজনের মুখোমুখি কেজরীবালকে বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেই সঙ্গে কেজরীবালের বিভিন্ন ডিজিটাল তথ্যও সংগ্রহ করা বাকি আছে। তিনি পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ ইডির।

অন্যদিকে, তাঁর গ্রেফতারি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কেজরীবাল। শুধুমাত্র কয়েকজন ব্যক্তির মৌখিক সাক্ষের ভিত্তিতে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যায় কিনা, সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি যদি মোদী-অমিত শাহর নামে বলি, তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত তাহলেই কি তাঁদের গ্রেফতার করা হবে?” তিনি আরও জানান, ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু, তদন্তে এখনও পর্যন্ত কোনও অর্থ উদ্ধার করতে পারেনি তদন্তকারীরা।