AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্যাংগং হ্রদ অঞ্চল থেকে তিন ধাপে সেনাবাহিনী সরাতে রাজি ভারত-চিন

TV9 বাংলা ডিজিটাল: অবশেষে দেখা গেল আশার আলো। শীঘ্রই মিটতে পারে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) সীমান্ত সমস্যা। ভারত (India)-চিন (China) দুই দেশই সম্প্রতি আলোচনায় রাজি হয়েছে নিজেদের পুরোনো অবস্থানে ফিরে যেতে, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র অনুযায়ী। সম্প্রতি ৬ নভেম্বর চুসুল (Chushul)-এ অষ্টম দফা সেনাস্তরীয় বৈঠকের পরই দুই দেশের তরফে ধীরে ধীরে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা […]

প্যাংগং হ্রদ অঞ্চল থেকে তিন ধাপে সেনাবাহিনী সরাতে রাজি ভারত-চিন
প্যাংগং লেক থেকে শীঘ্রই সরবে ভারতীয় ও চিনা সেনাবিহিনী। ছবি সৌজন্যে: গুগল
| Updated on: Nov 27, 2020 | 2:11 PM
Share

TV9 বাংলা ডিজিটাল: অবশেষে দেখা গেল আশার আলো। শীঘ্রই মিটতে পারে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) সীমান্ত সমস্যা। ভারত (India)-চিন (China) দুই দেশই সম্প্রতি আলোচনায় রাজি হয়েছে নিজেদের পুরোনো অবস্থানে ফিরে যেতে, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র অনুযায়ী।

সম্প্রতি ৬ নভেম্বর চুসুল (Chushul)-এ অষ্টম দফা সেনাস্তরীয় বৈঠকের পরই দুই দেশের তরফে ধীরে ধীরে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC)-য় অবস্থানকারী সেনাদের পিছু হঠানোর সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছে দুই দেশ। আলোচনার এক সপ্তাহ পরই তিন দফায় প্যাংগং হ্রদ (Pangong Lake) অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনী সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বর্তমানে যে ট্যাঙ্ক ও অস্ত্রযুক্ত সাজোয়া গাড়িগুলি রয়েছে, তা ধাপে ধাপে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

৬ নভেম্বরে বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সেক্রেটারি নবীন শ্রীবাস্তব ও ব্রিগেডিয়ার ঘাই চিনের সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যে বৈঠকে বসেছিলেন, সেই আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী একদিনের মধ্যেই ট্যাঙ্ক ও অস্ত্রযুক্ত সাঁজোয়া গাড়িগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

দ্বিতীয় ধাপে প্যাংগং হ্রদের উত্তর তীরে দুই দেশের যে সেনাবাহিনী অবস্থান করছে,তিন দিন ধরে প্রতিদিন তার ৩০ শতাংশ সেনা সরানো হবে। ভারতীয় সেনারা পূর্ব অবস্থান থেকে সরে এসে ধনসিং থাপা পোস্টের কাছে এবং লাল ফৌজ ফিঙ্গার ৮-র পূর্ব ভাগে অবস্থান করবে। তৃতীয় তথা শেষভাগে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণভাগ থেকে দুই দেশের সেনাবাহিনীই সরিয়ে আনা হবে। এরমধ্যে চুসুল ও রেজাং লা অঞ্চলও অন্তর্গত। সেনাবাহিনী সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে হচ্ছে কিনা, তা দেখতে দুই দেশই যুগ্মভাবে মানবশূন্য বিমান(Unmanned Aerial Vehicles)-র মাধ্যমে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে।

জুন মাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Vally) চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান ও চিনের তরফে কম্যান্ডিং অফিসার সহ বহু সেনার প্রাণহানির ঘটনার পর থেকেই ভারত অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, আর্মি অব স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত , সেনাবাহিনী প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে ও বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদুরিয়া নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর চিনা বাহিনীকে শিক্ষা দিতে প্যাঙগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ ভাগ দখল সহ নানা কঠোর পদক্ষেপ করেছে।

অন্যদিকে চিনাবাহিনীও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে বিশাল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করে ও ফিঙ্গার পয়েন্ট, ১৪, ১৫, ১৫এ, ১৭ পেট্রোলিং পয়েন্টে অনুপ্রবেশ করেছে। চিনা লাল ফৌজের আগ্রাসনের জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও হিমাচল প্রদেশে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও ভারতীয় বায়ু সেনার তরফ থেকে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার পাঠানো হয় নজরদারি এবং প্রয়োজনে হামলা চালানোর জন্য। শত্রুপক্ষের বিমানবাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য গরুদ স্পেশাল ফোর্সও মোতায়েন করা হয় সীমান্ত অঞ্চলজুড়ে।