Ministry of External Affairs: ‘সন্ত্রাসবাদ বিরুদ্ধেও একসুরে কথা বলতে পারে না…’, জইশ জঙ্গিকে বাঁচানো নিয়ে চিনকে দুষল ভারত

India-china Conflict: জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান কুখ্যাত মাসুদ আজ়হারের ভাই আব্দুল রউফ আজ়হার। কান্দাহার কাণ্ডে অন্যতম চক্রী ছিলেন এই আব্দুল। বর্তমানে পাকিস্তানে আত্মগোপন করেই ডেপুটি চিফ হিসাবে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর যাবতীয় কার্যকলাপ পরিচালনা করছেন তিনি।

Ministry of External Affairs: 'সন্ত্রাসবাদ বিরুদ্ধেও একসুরে কথা বলতে পারে না...', জইশ জঙ্গিকে বাঁচানো নিয়ে চিনকে দুষল ভারত
বিদেশ মন্ত্রকের সচিব অরিন্দম বাগচী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2022 | 8:25 AM

নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তরফে জইশ জঙ্গি আব্দুল রউফ আজ়হারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানিয়েছিল ভারত ও আমেরিকা। কিন্তু সেই আর্জি স্বীকৃত হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চিন। পাকিস্তানে বসবাসকারী ওই জইশ জঙ্গিকে বাঁচানোর জন্য চিন যে চেষ্টা চালাল, তা নিয়েই এবার মুখ খুলল ভারত। তীব্র সমালোচনা করা হল চিনের। শুক্রবারই সাংবাদিক বৈঠক করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী চিনের ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “এটি অত্য়ন্ত দুঃখজনক ও অনুশোচনামূলক ঘটনা যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক সুরে কথা বলে না।”

জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান কুখ্যাত মাসুদ আজ়হারের ভাই আব্দুল রউফ আজ়হার। কান্দাহার কাণ্ডে অন্যতম চক্রী ছিলেন এই আব্দুল। বর্তমানে পাকিস্তানে আত্মগোপন করেই ডেপুটি চিফ হিসাবে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর যাবতীয় কার্যকলাপ পরিচালনা করছেন তিনি। বর্তমানে পাকিস্তানিদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উসকানি দেওয়া ও ভারতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করার অভিযোগেই ভারত ও আমেরিকার তরফে যৌথভাবে আব্দুল রউফ আজ়হারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জি জানানো হয়। জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর উপ-প্রধানের আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেওয়ার আর্জি জানানো হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে। কিন্তু সেই আর্জি মঞ্জুর হওয়ায় বাধা দেয় প্রতিবেশী দেশ চিনই। বিষয়টি অনুধাবন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চাই, এই বাহানা দিয়েই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা আটকে দেয়।

শুক্রবার এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “বিনা যুক্তিতেই কোনও প্রস্তাবনা আপাতত স্থগিত রাখা বা আটকে দেওয়ার রীতি বন্ধ করতে হবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে যথাযথ আসল তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যতম কিছু সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে দেওয়া প্রস্তাবনাগুলিকে আপাতত স্থগিত করে রাখা হয়েছে। দ্বিচারিতা ও ক্পমাগত রাজনীতির কারণে নিরাপত্তা পরিষদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।”

তিনি বলেন, “জইশ-ই-মহম্মদের ডেপুটি প্রধান আব্দুল রউফ আজ়হার ১৯৯৮ সালে ভারতীয় বিমান আইসি ৮১৪-র হাইজ্যাকিং ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল। ২০১১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা, ২০১৪ সালে কাঠুয়ায় সেনাছাউনিতে হামলা ও ২০১৬ সালে পাঠানকোটে বায়ুসেনার ছাউনিতে হামলার পিছনেও আজ়হারেরই হাত ছিল। ভারত ও আমেরিকার তরফে ইতিমধ্যেই তাঁর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরপরও এই ধরনের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির উপরে নিষেঝধাজ্ঞা ঘোষণাকে আটকে রাখা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।”