PM Modi: ‘ইউক্রেন সংঘাতের শুরু থেকেই…’, রুশ অর্থনৈতিক ফোরামে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মোদী

PM Modi at 7th Eastern Economic Forum in Russia: রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব এবং কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। বুধবার, রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে অনুষ্ঠিত সপ্তম 'ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের' পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভার্চুয়াল ভাষণে আর কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?

PM Modi: 'ইউক্রেন সংঘাতের শুরু থেকেই…', রুশ অর্থনৈতিক ফোরামে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মোদী
সপ্তম 'ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের' পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভার্চুয়াল ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 3:40 PM

নয়া দিল্লি: রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব এবং কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে, বুধবার, রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে অনুষ্ঠিত সপ্তম ‘ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের’ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভার্চুয়াল ভাষণে বুধবার এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি ফের জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের শুরু থেকেই, ভারত ‘কূটনীতি এবং আলোচনার’ পথ অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।

ভার্চুয়াল ভাষণে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আজকের বিশ্বায়নের যুগে, বিশ্বের কোনও একটি অংশের ঘটনাবলির প্রভাব সমগ্র বিশ্বের উপর পড়ে। ইউক্রেন দ্বন্দ্ব এবং কোভিড মহামারি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলেছে। খাদ্যশস্য, সার এবং জ্বালানির ঘাটতি উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। ইউক্রেন সংঘাতের শুরু থেকেই আমরা কূটনীতি ও আলোচনার পথ অবলম্বনের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে সকল শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি।”

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, সপ্তম ‘ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামের’ সঙ্গে ভার্চুয়ালি জুড়তে পেরে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, “এই মাসে, ভ্লাদিভস্তকে ভারতীয় কনস্যুলেট প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ভারতই প্রথম দেশ যারা এই শহরে কনস্যুলেট খুলেছিল। ২০১৯ সালে, আমার সরাসরি এই ফোরামে অংশ নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেই সময়ে, আমরা ভারতের ‘অ্যাক্ট-ইস্ট’ নীতি ঘোষণা করেছিলাম। তার ফলস্বরূপ, রুশ দূরপ্রাচ্যের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে।”

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে সপ্তম ‘ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরাম’। ফার ইস্টার্ন ফেডারেল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এবারের সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনের থিম বা বিষয় হল “অন দ্য পাথ টু আ মাল্টিপোলার ওয়ার্ল্ড”, অর্থাৎ, ‘বহুমেরু বিশ্বের পথে’। বস্তুত, চলতি বছরে ভারত দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্ব সত্যিই এখন বহুমেরুর। আমেরিকার সতর্কতা অগ্রাঢ্য করেই ভারত নিজ নাগরিকদের স্বার্থে সস্তায় রুশ জ্বালানি ক্রয় করেছে। এই নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমী শক্তিগুলি ইউক্রেন যুদ্ধে ভারত সহায়তা করছে বলে সমালোচনা করেছে। তবে, ভারত বিশ্বের সামনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। এদিনও প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন, ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, শক্তি এবং কয়লা খাতের কথা।