কৃষক আন্দোলনে উদ্বেগ প্রকাশ কানাডার প্রধানমন্ত্রীর! সমন পাঠাল কেন্দ্র
অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, "ভাল করে না জেনে এই মন্তব্য করা থেকে কানাডার নেতৃত্বের বিরত থাকা উচিত।"
নয়া দিল্লি: কৃষি আইনের বিপক্ষে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে কথা বলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। তাই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করায় কানাডার হাই কমিশনারকে সমন পাঠাল কেন্দ্র। কৃষক আন্দোলনের বিষয়ে ট্রুডো জানিয়ে ছিলেন, কানাডার নজর আছে এই আন্দোলনের উপর। কানাডা সব সময় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে। তিনি এ-ও জানিয়ে ছিলেন যে ভারতে কৃষক আন্দোলন ‘উদ্বেগজনক’ হয়ে উঠছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, “ভাল করে না জেনে এই মন্তব্য করা থেকে কানাডার নেতৃত্বের বিরত থাকা উচিত।” তবে ট্রুডোর এই সমর্থনে গোটা ভারত দ্বিবিভক্ত হয়েছে। এক পক্ষ মনে করছেন ট্রুডোর সমর্থন একেবারেই যুক্তিযুক্ত তো অন্য পক্ষের দাবি কেন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী!
I am happy that Canadian PM Trudeau has spoken out for Right to Protest in a democracy& for our farmers rights. It is important for all leaders worldwide to stand up for democratic rights of people in all nations. Those saying that this is an internal matter have got it all wrong
— Prashant Bhushan (@pbhushan1) December 1, 2020
কেউ কেউ আবার বলছেন কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের ভোট হস্তগত করতে নাকি এমন করছেন ট্রুডো। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ টুইটে জানিয়েছেন, ট্রুডোর বক্তব্যে তিনি খুশি। বিশ্বের সব নেতারই মানবধিকার নিয়ে কথা বলা উচিত। কুণাল কামরা টুইটে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “এবার তাহলে কানাডার হাউডি মোদী বাতিল।”
Ab toh Canada ka Howdy Modi Cancel
— Kunal Kamra (@kunalkamra88) December 1, 2020
তবে ট্রুডোর এহেন মন্তব্য ভাল চোখে দেখেননি শিবসেনার মুখপাত্র সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী। তাঁর মতে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনীতিতে ব্যবহার করতে চাইছেন ট্রুডো। যা অনুচিত। আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চড্ডা টুইটে জানিয়েছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান ভারতের নেতারাই করতে পারবেন। বিদেশের কেউ কথা না বললেও হবে।
While we urge BJP Govt to immediately resolve & accede to farmers’ demands, this remains an internal matter of India. AAP believes interference or commentary from elected heads of other countries are unsolicited & unwelcome. India is capable of handling its own domestic matters. https://t.co/tPEQznQ6gT
— Raghav Chadha (@raghav_chadha) December 1, 2020
,
আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদ নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি, খোশমেজাজে মহা-আগাড়ি জোট
তবে বিগত দিনে বারবার কৃষকদের ভর্তুকির বিরুদ্ধে কথা বলেছে কানাডা। সেখানে হঠাৎ এমন ‘কৃষক প্রীতি’তে রাজনৈতিক অভিসন্ধির প্রসঙ্গ টেনেছেন অনেকে। সব মিলিয়ে কৃষকদের দাবি তো ছিলই তার সঙ্গে কানাডা হাই কমিশনারের কাছে কেন্দ্রের সমন আলাদা মাত্রা দিল এই আন্দোলনে।