Indian Army: ‘যেন যুদ্ধের মতো অস্ত্র-মজুত’, কাশ্মীরে জঙ্গিদের বড় ছক বানচাল করল সেনা
Indian Army: পাওয়া গিয়েছে পাকিস্তানের ফ্ল্যাগ ছাপানো কিছু বেলুনও। যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, তা দেখে সেনা আধিকারিকরা বলছেন, 'যেন যুদ্ধের মতো মজুত করে রাখা হচ্ছিল।'
শ্রীনগর: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সীমান্তে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার (Indian Army)। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভাণ্ডার (War-like Stores)। জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই উদ্ধার হয়েছে প্রচুর একে-৪৭ রাইফেল। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে পাকিস্তানে তৈরি অনেক হ্যান্ড গ্রেনেডও। উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে আটটি একে-৪৭ রাইফেল, ২৪টি ম্যাগাজিন, ৫৬০টি একে-৭৪-এর কার্তুজ, ১২টি পয়েন্ট ৩০ চাইনিজ পিস্তল, পিস্তলের জন্য ২৪টি ম্যাগাজিন, পয়েন্ট ৩০ এমএম পিস্তলের ২৪৪টি কার্তুজ, নয়টি চাইনিজ হ্য়ান্ড গ্রেনেড এবং পাঁচটি পাকিস্তানি হ্যান্ড গ্রেনেড। পাওয়া গিয়েছে পাকিস্তানের ফ্ল্যাগ ছাপানো কিছু বেলুনও। যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, তা দেখে সেনা আধিকারিকরা বলছেন, ‘যেন যুদ্ধের মতো মজুত করে রাখা হচ্ছিল।’
Major recovery in Uri along with 3 Rajput of @adgpi 8 AKS 74u with 24 mags and 560 rds 12 pistols (Tokarev type) with 24 mags and 244 rds 14 grenades 81 balloons with Pak flag imprint Among other incriminating materials recovered@JmuKmrPolice@KashmirPolice pic.twitter.com/vjCjwm4eqt
— Baramulla Police (بارہمولہ پولیس) (@BaramullaPolice) December 24, 2022
ভারতীয় সেনার ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মেজর জেনারেল অজয় চাঁদপুরিয়া জানিয়েছেন, বিগত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্র মারফত জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা এবং অস্ত্র মজুতের চেষ্টার খবর আসছিল। সেই মতো উরির রামপুর সেক্টরের হাথলঙ্গা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন গ্রামগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছিল। শুক্রবার রাতে শেষ পর্যন্ত এই বিশাল পরিমাণ অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার হয়েছে। হাথলঙ্গা নালার ওই এলাকায় আট ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, “কাশ্মীর উপত্যকায় পরিস্থিতি বর্তমানে প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। উপত্যকায় সক্রিয় জঙ্গির সংখ্যা এবং তাদের যুদ্ধের মতো অস্ত্র মজুত সর্বকালীন কম সংখ্যায় নেমে এসেছে। এমন অবস্থায় সীমান্ত দিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানো এবং অস্ত্রভান্ডার মজুত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে অপর পক্ষ।”