Indian Army: দেশের সঙ্গে বেইমানি, জওয়ানকে ১০ বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড কোর্ট মার্শালের
Indian soldier sentenced to over 10 years jail: এই ধরনের অপকর্মের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনা শূন্য সহনশীলতা নীতি নিয়ে চলে। অর্থাৎ, পাচার করা তথ্য যতই কম গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
নয়া দিল্লি: হোক না যতই তুচ্ছ তথ্য, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে কোনও রেহাই নেই। বুঝিয়ে দিল ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানি দূতাবাসের এক কর্মচারীকে গোপন সামরিক তথ্য পাচার করার দায়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হল ভারতীয় সেনার এক জওয়ানের বিরুদ্ধে। দেশের উত্তর সীমান্তে সামরিক কার্যকলাপ সম্পর্কে তথ্য় পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল সে। এই বিষয়ে এক মহিলা সেনা কর্তার নেতৃত্বে একটি কোর্ট মার্শাল গঠন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা বিভাগ। রবিবার (২৩ জুলাই), কোর্ট মার্শাল ওই সৈনিককে ১০ বছর ১০ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, নয়া দিল্লিতে পাকিস্তানের হাই কমিশনে কর্মরত জনৈক আবিদ হোসেন ওরফে নায়েক আবিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল দণ্ডপ্রাপ্ত ওই সেনা জওয়ানের। ওই পাক নাগরিকের মাধ্যমেই পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ভারতীয় সেনার বেশ কিছু গোপন নথি পাঠয়েছিল সে। এর মধ্যে তাঁকে যে বাহিনিতে মোতায়েন করা হয়েছিল, সেই বাহিনী-সহ বিভিন্ন বাহিনীতে কাদের কাদের পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার তালিকা ছিল। কোভিড লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে সেনার যানবাহনের চলাচলে কিছু রদবদল হয়েছিল। সেই যানবাহন চলাচল সম্পর্কিত তথ্যও পাচার করার চেষ্টা করেছিল সে।
তবে, প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে, ওই জওয়ানের কাছে যেসব নথিপত্র ছিল, সেগুলির বিশেষ গুরুত্ব নেই। তার মতো নীচু ব়্যাঙ্কের জওয়ানের পক্ষে অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া অসম্ভব। তবে, তারপরও তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আসলে, এই ধরনের অপকর্মের ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনা শূন্য সহনশীলতা নীতি নিয়ে চলে। অর্থাৎ, পাচার করা তথ্য যতই কম গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে, কোর্ট মার্শালের দেওয়া সাজাই শেষ কথা নয়। এই ক্ষেত্রে সেনার উপযুক্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনোমোদন লাগে। তাঁরা সায় দিলে, তবেই এই সাজা নিশ্চিত হবে।