Indian Army: ভারতীয় বাহিনীতে খচ্চরের জায়গা নেবে রোবট, চিন ও পাক সীমান্তে আসছে ড্রোন-জেটপ্যাকও
Indian Army ২০৩০ সালের মধ্যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী খচ্চরের সংখ্যা ৬০% কমাতে চায়। চিন ও পাকিস্তানের সীমান্ত বরাবর হিমালয়ের পাহাড়ী ভূখণ্ডে ভারতীয় বাহিনীর জন্য অপরিহার্য এই প্রাণী।
নয়া দিল্লি: অদূর ভবিষ্যতেই হিমালয়ের সুউচ্চ ভূখণ্ডে রোবোটিক সহকর্মী পেতে পারে ভারতীয় সেনা। বর্তমানে, চিন এবং পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর হিমালয়ের পাহাড়ী দুর্গম ঘাঁটিগুলিতে কোনও যানবাহন যেতে পরে না। এখনও পর্যন্ত এই ঘাঁটিগুলিতে রেশন, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরবরাহ পরিবহনের জন্য অপরিহার্য খচ্চর। খচ্চরের পিঠে চাপিয়েই প্রয়োজনীয় মালপত্র নিয়ে যাওয়া হয় এই কঠিন স্থানগুলিতে। ফলে, চিন ও পাকিস্তানের সীমান্ত বরাবর হিমালয় পর্বতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দৈনন্দিন কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল খচ্চর। ২০৩০ সালের মধ্যে, বাহিনীতে খচ্চরের সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৬০ শতাংশ কমাতে চায় ভারতীয় সেনা। আর এই প্রাণীগুলির জায়গা নেবে রোবট।
সূত্রের খবর, এর জন্য চার পায়ের রোবোটিক খচ্চর কিনতে চায় সেনা। এই রোবটগুলি বিভিন্ন ভূখণ্ডে চলাচল করতে পারে। কোনওভাবে খারাপ হয়ে গেলে নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের বিপদও এড়িয়ে চলতে পারে। একই সঙ্গে ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার পাল্লার ছোট, মাঝারি এবং বড় মাপের কার্গো ড্রোন কিনতেও আগ্রহী ভারতীয় সেনা। এই ড্রোনগুলি মারফৎ সীমান্তবর্তী দুর্গম ঘাঁটিগুলিতে সাপ্তাহিক খাবার এবং অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে বাহিনী। এই ড্রোনগুলি পূর্ব পরিকল্পিত রুটে নিজে নিজেই উড়তে পারে।
এর পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির জন্য জেটপ্যাক স্য়ুটও কিনতে চলেছে ভারতীয় সেনা। জেটপ্যাক এমন এক যন্ত্র, যা পিঠে নেওয়ার ব্যাগের মতো পরিধান করা যায়। গ্যাস বা তরল জ্বালানি ব্যবহার করে এই স্যুট, পরিধানকারীকে বাতাসে উড়তে সাহায্য করে। মরুভূমি বা পার্বত্য অঞ্চলে ৩,০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত এই স্যুট ব্যবহার করে নিরাপদে ওড়া যায়।
চিন ও পাকিস্তান সীমান্তের দ্বৈত হুমকির মুখে যথাসম্ভব আধুনিক সাজ-সরঞ্জামে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বাহিনীকে। আর এরই অংশ হিসেবে এই রোবোটিক খচ্চর, ড্রোন এবং জেটপ্যাক স্যুটগুলি কেনা হবে। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে আধুনিকীকরণের জন্য ৪৮টি জেটপ্যাক স্যুট, ১৩০টি ড্রোন এবং ১০০টি রোবোটিক খচ্চর কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাহিনী।