R Value: উৎসবের দোরগোড়াতেই চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার ‘আর ভ্যালু’, পুজোর মাঝেই কি ভয়াবহ রূপ নেবে করোনা?

India's R Value Below 1: ইন্সটিটিউট অব ম্যাথেমেটিক্যাল সায়েন্সের তথ্য় অনুযায়ী, বর্তমানে মুম্বইয়ের আর ভ্যালু ১.০৯, চেন্নাইয়ের আর ভ্যালু ১.১১ ও কলকাতার ১.০৪।

R Value: উৎসবের দোরগোড়াতেই চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার 'আর ভ্যালু', পুজোর মাঝেই কি ভয়াবহ রূপ নেবে করোনা?
চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতার অ্যার ভ্যালু। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 7:27 AM

নয়া দিল্লি: উৎসবের মরশুমের আগেই মিলল স্বস্তির খবর। ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে দেশের আর ভ্যালু(R Value)। গবেষকরা জানিয়েছেন, অগস্টের শেষভাগে দেশের আর ভ্যালু যেখানে ১.১৭ ছিল, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তা ০.৯২-তে নেমে এসেছে, অর্থাৎ সংক্রমণ ছড়ানোর হার বেশ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। যদিও এখনও চিন্তা রয়েছে কলকাতা(Kolkata), মুম্বই (Mumbai), বেঙ্গালুরু (Bengaluru) ও চেন্নাই(Chennai)-কে ঘিরে, কারণ সেখানে আর ভ্যালু ১-র উপরে।

আর ফ্যাক্টরের (R Factor) মাধ্যমে সংক্রমণ কোন গতিতে এগোচ্ছে, তা বোঝা যায়। অন্যদিকে, আর ভ্যালু(R Value)-র মাধ্যমে একজন করোনা আক্রান্তের (COVID Positive) থেকে আরও কতজন সংক্রমিত হতে পারে, তা জানা যায়। উৎসবের মরশুম যত এগিয়ে আসছিল, ততই আর ভ্যালুর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম উদ্বেগে ছিলেন চিকিৎলক-গবেষকরা। তবে সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দিল্লি, পুণের মতো শহরে আর ভ্যালু ১-র কম। মহারাষ্ট্র ও কেরল, যে দুটি রাজ্য করোনা সংক্রমণে সবথেকে বেশি বিপর্যস্ত, সেখানেও আর ভ্যালু ১-র নীচেই রয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, অগস্টের শেষভাগে দেশের আর ভ্যালু ছিল ১.১৭। সেপ্টেম্বরের ৪ থেকে ৭ তারিখের মধ্যে তা ১.১১-এ  কমে দাঁড়ায় এবং এরপর থেকেই তা ১-র কমে রয়েছে। চেন্নাইয়ের ইন্সটিটিউট অব ম্যাথেমেটিক্যাল সায়েন্সের গবেষক সীতাব্রত সিনহা বলেন, “দেশের আর ভ্যালু ১-র নীচে থাকা অত্যন্ত ভাল একটি খবর। কেরল ও মহারাষ্ট্র যেখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক থাকলেও সেখানে আর ভ্যালু ১-র কম হওয়ায় অনেকটাই নিশ্চিন্তে থাকা যাচ্ছে।”

ইন্সটিটিউট অব ম্যাথেমেটিক্যাল সায়েন্সের তথ্য় অনুযায়ী, বর্তমানে মুম্বইয়ের আর ভ্যালু ১.০৯, চেন্নাইয়ের আর ভ্যালু ১.১১ ও কলকাতার ১.০৪। বেঙ্গালুরুতেও আর ভ্যালু এখনও ১.০৬-এ আটকে রয়েছে। উৎসবের মরশুমে এই বড় বড় শহরগুলিতে আর ভ্যালু এখনও ১-র উপরে থাকায় কিছুটা চিন্তায় রয়েছেন গবেষকরা, কারণ রিপ্রোডাকশন নম্বর বা সংক্ষেপে আর ভ্যালু জানায় যে গড়ে কতজন সংক্রমিত হচ্ছেন বা কত দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাসেই দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। দৈনিক চার লক্ষ আক্রান্তও হয়েছিল সেই সময়ে। ওই সময়কালে দেশের আর ভ্যালু ছিল ১.৩৭। মে মাসের ১৫ তারিখ থেকে জুনের ২৬ তারিখ অবধি দেশের আর ভ্যালু অনেকটাই কমে দাঁড়ায় ০.৭৮-এ। জুনের শেষ ভাগ থেকেই ফের আর ভ্যালু উর্ধ্বমুখী হয়। ৭ জুলাই অবধি দেশের আর ভ্যালু ছিল ০.৮৮, ৩ থেকে ২২ জুলাই অবধি আর ভ্য়ালু ০.৯৫ এবং ২৪ থেকে ২৭ জুলাই অবধি আর ভ্যালু ০.৯৬-এ পৌঁছয়।

অগস্টের শেষভাগে আর ভ্যালু ১.১৭ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তা কমে দাঁড়ায় ০.৯৪-এ। ১১ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আর ভ্যালু ছিল ০.৮৬। সেপ্টেম্বরের ১৪ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে তা সামান্য বেড়ে দাঁড়ায় ০.৯২-তে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের সুস্থতার হার ৯৭.৭৫ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক আক্রান্তের হার ২.০৮ শতাংশ।

আরও পড়ুন: Punjab: ২৫০ কিমি যেতেই প্রাইভেট জেট ভাড়া ‘গরিবের সরকারে’র, উঠল সমালোচনার ঝড়