RTI-এর উত্তর এসেছে ৪০ হাজার পাতার, বাড়ি পর্যন্ত বয়ে নিয়ে যেতেই হিমশিম অবস্থা
RTI Answer: গাদা গাদা কাগজ-পত্র। পাহাড় প্রমাণ সেই নথি বাড়ি পর্যন্ত বয়ে আনতে গিয়েই হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। শেষ পর্যন্ত একটি এসইউভি গাড়িতে করে সেই ৪০ হাজার পাতার আরটিআই নথি বাড়িতে আনতে হয়েছে ওই আরটিআই কর্মীকে।
ইন্দোর: কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে টেন্ডার সংক্রান্ত একটি ইস্যুতে আরটিআই দাখিল করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র শুক্লা। সেই আরটিআই-এর উত্তর এসেছে ৪০ হাজার পাতার। গাদা গাদা কাগজ-পত্র। পাহাড় প্রমাণ সেই নথি বাড়ি পর্যন্ত বয়ে আনতে গিয়েই হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। শেষ পর্যন্ত একটি এসইউভি গাড়িতে করে সেই ৪০ হাজার পাতার আরটিআই নথি বাড়িতে আনতে হয়েছে তাঁকে। একটা গাড়ি শুধু ফাইলের পর ফাইল কাগজে ঠাসা। আর এই ৪০ হাজার পাতার আরটিআই-এর জন্য এক পয়সাও খরচ করতে হয়নি তাঁকে। গোটা নথিটাই বিনা খরচে পেয়ে গিয়েছেন তিনি।
সাধারণভাবে কোনও আরটিআই-এর উত্তরের জন্য প্রতি পাতা পিছু ২ টাকা করে দিতে হয়। তবে আরটিআই-এর আবেদন করার এক মাসের মধ্যে আবেদনকারীর কাছে উত্তর পৌঁছে দিতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এটাই নিয়ম। সেক্ষেত্রে, ৪০ হাজার পাতার আরটিআই উত্তরের জন্য মোট ৮০ হাজার টাকা আবেদনকারীর দেওয়ার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে, ধর্মেন্দ্র শুক্লা নামে ইন্দোরের ওই আরটিআই আবেদনকারী এক মাসের মধ্যে উত্তর পাননি। ফলে তিনি বিষয়টি নিয়ে ফার্স্ট অ্যাপিলেট অফিসার চিকিৎসক শরদ গুপ্তার নজরে আনেন। ফার্স্ট অ্যাপিলেট অফিসার তাঁর আবেদন গ্রহণ করেন এবং আরটিআই-এর জবাব বিনামূল্য তাঁর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ধর্মেন্দ্র শুক্লা নামে ওই আরটিআই কর্মীর বক্তব্য, কোভিডের সময়ে ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী কেনার বিষয়ে টেন্ডার ও রশিদের বিস্তারিত তথ্য চেয়ে তিনি ইন্দোরের চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেল্থ অফিসারের কাছে একটি আরটিআই আবেদন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সময়মতো সেই আরটিআই-এর উত্তর না পাওয়ায় বিনামূল্য তিনি সব কাগজপত্র পেয়ে গিয়েছেন। বলছেন, ‘আরটিআই-এর কাগজপত্র একটা এসইউভি গাড়িতে করে আমায় নিয়ে আসতে হয়েছে। পুরো গাড়ি কাগজে ঠাসা ছিল। শুধু চালকের জায়গাটুকুই ফাঁকা ছিল।’
অ্যাপিলেট অফিসার তথা মধ্য প্রদেশের স্বাস্থ্য দফতরের রিজিওনাল জয়েন্ট ডিরেক্টর চিকিৎসক শরদ গুপ্তাও জানাচ্ছেন, তিনি ওই আরটিআই কর্মীকে বিনা খরচে তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, কেন ওই ব্যক্তিকে সময়মতো তথ্য দেওয়া গেল না, সরকারের ৮০ হাজার টাকা নষ্ট হওয়ার পিছনে কার গাফিলতি রয়েছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।