Rajya Sabha: অধিবেশন চলাকালীন সাংসদকে গ্রেফতার করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা: ভেঙ্কাইয়া নাইডু

M Venkaiah Naidu: ভেঙ্কাইয়া জানিয়েছেন, সংবিধানের ১০৫ ধারা অনুযায়ী সাংসদদের বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ও বিশেষ অধিকার দেওয়ার কথা বলা রয়েছে, যাতে কোনও বাধা ছাড়াই তাঁরা দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

Rajya Sabha: অধিবেশন চলাকালীন সাংসদকে গ্রেফতার করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা: ভেঙ্কাইয়া নাইডু
ছবি: পিটিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 11:21 AM

নয়া দিল্লি: শুক্রবার রাজ্যসভা চেয়ারম্যান তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু স্পষ্টতই জানিয়েছেন, অধিবেশন চলাকালীন সাংসদরা ফৌজদারি মামলার অপরাধে গ্রেফতারি থেকে কোনওভাবেই নিস্তার পাবেন না। এমনকী অধিবেশনের বাহানা দিয়ে তদন্তকারী সংস্থার তলবও এড়িয়ে যেতে পারবেন না। একের পর এক রাজনীতিককে বিভিন্ন মামলায় যখন তদন্তকারী সংস্থা তলব করছে ঠিক সেই সময়ে রাজ্যসভা চেয়ারম্যানের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুক্রবার রাজ্যসভা শুরু হতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে কংগ্রেস সাংসদদের হইচইয়ের মধ্যে অধিবেশন আধ ঘণ্টার জন্য মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছিল। অধিবেশন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে অধিবেশন মুলতুবি হতে দৃশ্যতই অসন্তুষ্ট হতে দেখা যায় ভেঙ্কাইয়াকে।

রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০ কংগ্রেস সাংসদ ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের মূল দাবি ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহার করছে। কংগ্রেস সাংসদদের অভিযোগ, অধিবেশন চলকালীন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, যা আসলে তাঁর অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়। সাড়ে ১১টায় অধিবেশন পুনরায় শুরু হতেই ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে, অধিবেশন চলাকালীন তদন্তকারী সংস্থার থেকে তাঁরা দূরে থাকতে পারবেন।

ভেঙ্কাইয়া জানিয়েছেন, সংবিধানের ১০৫ ধারা অনুযায়ী সাংসদদের বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ও বিশেষ অধিকার দেওয়ার কথা বলা রয়েছে, যাতে কোনও বাধা ছাড়াই তারা দায়িত্ব পালন করতে পারেন। তিনি জানিয়েছেন, অধিবেশন বা কমিটির বৈঠক শুরু হওয়ার ৪০ দিন আগে এবং তার ৪০ দিন পরে সংসদ সদস্যকে দেওয়ানি মামলায় গ্রেফতার করা যাবে না, যা বিশেষ অধিকারগুলির মধ্যে অন্যতম। ভেঙ্কাইয়া জানিয়েছেন, ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম প্রযোজ্য, সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রেও একই নিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান মনে করেন, সংসদের কোনও সদস্যরই তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরা এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।