Marital Rape: স্বামী যৌনতা চাইলে কি অস্বীকার করতে পারে স্ত্রী, কী মনে করে ভারত

Marital Rape: বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ কিনা, তা নিয়ে রায় দিতে চলেছে দিল্লি হাইকোর্ট। বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে আপামর ভারতের মনোভাবটা ঠিক কী, কী জানা গেল সমীক্ষায়?

Marital Rape: স্বামী যৌনতা চাইলে কি অস্বীকার করতে পারে স্ত্রী, কী মনে করে ভারত
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 5:38 PM

নয়া দিল্লি: ম্যারিটাল রেপ (Marital Rape) বা বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে আজ বুধবার, মহা-গুরুত্বপূর্ণ রায় দিতে চলেছে দিল্লি হাইকোর্ট। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণ আইনে এখনও পর্যন্ত বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে ধরা হয় না। ধর্ষণ আইনের এই ব্যতিক্রমী ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেই বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। আবেদনকারীদের দাবি, বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে অপরাধ বলে গণ্য করতে হবে। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায় যাই হোক, বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে আপামর ভারতের মনোভাবটা ঠিক কী? স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে কি অস্বীকার করতে পারে কোনও স্ত্রী? নাকি সেই ক্ষেত্রে স্বামীর জোর খাটানোটা সঙ্গত?

২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে বা জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা করা হয়েছিল, তাতে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়েও কিছু প্রশ্ন ছিল। সেই সমীক্ষার ফল অনুযায়ী ভারতের ৮০ শতাংশ মহিলা এবং ৬৬ শতাংশ পুরুষ মনে করেন বৈবাহিক সম্পর্কে থাকলেও, স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে অস্বীকার করতে পারেন স্ত্রী। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে যে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে হয়েছিল, তার তুলনায় এই মতে বিশ্বাসী মহিলাদের সংখ্যা বেড়েছে ১২ শতাংশ এবং পুরুষদের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। অস্বীকার করার কারণের মধ্যে রয়েছে স্বামী যৌনরোগে আক্রান্ত, স্বামী অন্য মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত কিংবা স্ত্রী সেই মুহূর্তে যৌনতা চাইছেন না বা ক্লান্ত।

পাশাপাশি অন্তত ৮ শতাংশ মহিলা এবং ১০ শতাংশ পুরুষ মনে করেন, স্ত্রী কখনই স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকার করতে পারেন না। সমীক্ষায় স্ত্রী যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে অস্বীকার করলে পুরুষদের কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তারও আঁচ পাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। উত্তরদাতাদের সামনে চারটি বিকল্প দেওয়া হয়েছিল – রেগে গিয়ে স্ত্রীকে তিরস্কার করা, স্ত্রীকে অর্থ বা অন্য কিছু দিতে অস্বীকার করা, জোর খাটিয়ে যৌনতা করা কিংবা অন্য মহিলার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়া। মাত্র ৬ শতাংশ জানিয়েছেন, স্ত্রী যৌনতায় রাজি না হলে, কোনও স্বামীর এই চারটি বিকল্পই গ্রহণ করা সঙ্গত। ৭২ শতাংশ জানিয়েছেন উপরোক্ত কোনও আচরণই সঠিক নয়। আর ১৯ শতাংশ মনে করেন, রেগে গিয়ে স্ত্রীকে তিরস্কার করা যেতেই পারে।

সমীক্ষায় বৈবাহিক ধর্ষণের সঙ্গেই জড়িত আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে – ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা গার্হস্থ্য হিংসা। ৪৪ শতাংশ পুরুষের পাশাপাশি সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪৫ শতাংশ মহিলাও মনে করেন, উপযুক্ত কারণ থাকলে স্ত্রীকে মারধর করতেই পারেন পুরুষ। উপযুক্ত কারণ হিসাবে সাতটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে – স্বামীকে না বলে বাইরে বের হওয়া, সংসার বা সন্তানকে অবহেলা করা, স্বামীর সঙ্গে তর্ক করা, যৌনতা না করতে চাওয়া, রান্না ভাল না করা, স্বামীর মনে সন্দেহের উদ্রেক ঘটানো, শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন।