Rahul Gandhi: পুরানো বাংলো ফিরে পেতে কি তদ্বির করবেন রাহুল? জবাব দিলেন অধীর
আগামী কাল সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে। রাহুল গান্ধী অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বলবেন জানিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, "আমরা চাই রাহুল গান্ধী অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনার সূচনা করুন।"
নয়া দিল্লি: সাংসদ পদ ফিরে পেয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার কি সাংসদ কোটায় প্রাপ্ত তুঘলক লেনের সেই ১৯ বছরের পুরানো বাংলো ফিরে পাবেন তিনি? তার জন্য কি তদ্বির করবেন রাহুল? এখন এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নানান জল্পনাও শুরু হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে বাংলো প্রসঙ্গে সব জল্পনার অবসান ঘটালেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তিনি স্পষ্টত বলেন, “নিজের পুরানো বাড়ি ফেরত পাওয়ার জন্য রাহুল গান্ধী দরখাস্ত করবেন, এমন ব্যক্তি রাহুল গান্ধী নন।” প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল, ইদের দিন ১৯ বছরের পুরানো সেই বাংলো ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
অন্যদিকে, এদিন সংসদে রাহুল গান্ধীর ‘রি-এন্ট্রি’-র পরই তাঁর বিরুদ্ধে নতুন এক অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। এপ্রসঙ্গে বিজেপিকে অসহিষ্ণু কটাক্ষ করে অধীর চৌধুরীর তোপ, “রাহুল গান্ধী পার্লামেন্টে পা রেখেছেন, বিজেপির সহ্য হল না। তাঁর বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ নিয়ে আসতে হল।” নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিজেপি সাংসদকে সংসদে বসেই রাহুল গান্ধীকে গালিগালাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ অধীরের। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আবার আগামী কাল সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে। রাহুল গান্ধী অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বলবেন জানিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, “আমরা চাই রাহুল গান্ধী অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনার সূচনা করুন।”
এদিন সকালে রাহুল গান্ধীর সংসদে ফিরে আসার বিষয়টি উদযাপন করে কংগ্রেস ও তৃণমূল সাংসদ পরস্পরকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছেন। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নবান্নে বামফ্রণ্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফিস ফ্রাই খাওয়ানোর প্রসঙ্গ তুলে ধরে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন সুকান্ত। সেই অভিযোগেরও পাল্টা জবাব দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। বিজেপির ব়্যালিতে হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টির ঘটনাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কে কার সঙ্গে ফিশ ফ্রাই খাবে, পরে দেখা যাবে। মোদীজির ঘরে গেলে উনিও কিছু খাওয়ান। আর আমরা পার্লামেন্টে সস্তায় যে সব মিষ্টি পাওয়া যায়, সেটাই ভাগ করে খেয়েছি। কোটি কোটি টাকা খরচ করে হেলিকপ্টার থেকে পাপড়ি ফেলার ক্ষমতা নেই আমাদের।”