‘গ্রামের ছেলের স্বপ্নপূরণ অবশেষে’, ISRO প্রধানের মুকুটে সাফল্যের নয়া পালক
S Somnath: ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়ার পর ডঃ সোমনাথ বলেন, "আইআইটি মাদ্রাজের মতো সম্মানীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি পাওয়া অত্যন্ত সম্মানের। আমি গ্রামের ছেলে। পড়াশোনায় টপার হওয়া সত্ত্বেও আমার আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার সাহস ছিল না।"
চেন্নাই: চন্দ্রযান-৩ -র সাফল্যের মূল কাণ্ডারি তিনিই। পেশাগত সাফল্যের পর এবার ব্যক্তিগত জীবনেও সাফল্যের শিখরে পৌছলেন এস সোমনাথ। চন্দ্রযান চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর যে হাসি দেখা গিয়েছিল, তার থেকেও চওড়া হাসি দেখা গেল আজ। আইআইটি-মাদ্রাজ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ।
অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার এস সেমনাথ বর্তমানে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের, অর্থাৎ ইসরোর চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। এবার তাঁর নামের আগে যোগ হল বিশেষ উপাধি। এবার সোমনাথ নামের আগে জুড়ল ডঃ উপাধি।
গত বছরের ২৩ অগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩। এই অবতরণের সাফল্যের ক্রেডিট অনেকাংশেই ইসরোর প্রধান এস সোমনাথকেই দেওয়া হয়েছিল। সোমনাথ শব্দের সংস্কৃতে অর্থ হল ‘চাঁদের দেবতা’। তবে এটাই প্রথম পিএইচডি প্রাপ্তি নয়, এর আগেও একাধিক বিষয়ে পিএইচডি পেয়েছেন ডঃ এস সোমনাথ। তবে এবার তিনি নিজের গবেষণাপত্রের ভিত্তিতে পিএইচডি অর্জন করলেন।
ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়ার পর ডঃ সোমনাথ বলেন, “আইআইটি মাদ্রাজের মতো সম্মানীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি পাওয়া অত্যন্ত সম্মানের। আমি গ্রামের ছেলে। পড়াশোনায় টপার হওয়া সত্ত্বেও আমার আইআইটি-র প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার সাহস ছিল না। তবে আমার স্বপ্ন ছিল একদিন আমি এখান থেকে স্নাতক হব। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছি। এবার আইআইটি-মাদ্রাজ থেকে পিএইচডি পেলাম।”
তিনি বলেন, “পিএইচডি সবসময়ই কঠিন, বিশেষ করে তা যদি আইআইটি মাদ্রাজের মতো প্রতিষ্ঠান থেকে হয়। দীর্ঘ যাত্রাপথ ছিল এটি। বহু বছর আগে আমি রেজিস্টার করেছিলাম, রিসার্চের বিষয়টি আমার খুব কাছের। ভাইব্রেশন আইসোলেটর নিয়ে গবেষণা করেছি আমি। ইসরোর ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে যখন কাজ শুরু করেছিলাম, তখন থেকে এই বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করি, আমি বহু বছর ধরে এই বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। এই পিএইচডি বিগত ৩৫ বছরের পরিশ্রমের ফল। আপনারা শুধু শেষ অধ্যায়টা দেখতে পারছেন, কিন্তু এই যাত্রাপথ দীর্ঘ ছিল।”