Jammu Airport Blast: পাকিস্তান থেকে সীমানা পার করে এসেছিল চিনা ড্রোন!
পাকিস্তানের হাতে এমন কোনও শক্তিশালী ড্রোন নেই। তাই আঙুল উঠছে চিনের বিরুদ্ধে।
নয়া দিল্লি: রাতের অন্ধকারে ৬ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ। কেঁপে উঠল জম্মুর বায়ুসেনা বিমানঘাঁটি (Jammu Airport)। হামলায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বায়ুসেনার ঘাঁটিতে ড্রোন ঢুকে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। কঠোর নিরাপত্তাকে ফাঁকি দিয়ে কী করে ঢুকল ড্রোন? সে প্রশ্নও উঠছে। প্রাথমিক তদন্তে যা হাতে উঠে এসেছে, সেখান থেকে এনআইএ সূত্রের খবর, পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সীমানা পার করেই এ দেশে এসেছিল ড্রোন। তবে দেশের অভ্যন্তর থেকেও ড্রোন পরিচালনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না এনআইএ আধিকারিকারা।
ড্রোন সীমানা পার করে এসেছিল, না কি দেশের অভ্যন্তর থেকে পরিচালিত হয়েছিল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য হামলার সময় কী কী ফ্রিকোয়েন্সি অ্যাক্টিভ ছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার সঙ্গে চলছে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের পরীক্ষাও। সেগুলিকে একত্রিত করলেই নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে ড্রোনের উৎস।
তবে রাতের অন্ধকারে যেভাবে হামলা হয়েছে, সেখান থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, অত্যাধুনিক ড্রোন দিয়েই এই হামলা হয়েছে। কারণ সাধারণ নিম্নমানের ড্রোন হলে, রাতের অন্ধকারে এই হামলা সম্ভব নয়। পাকিস্তানের হাতে এমন কোনও শক্তিশালী ড্রোন নেই। তাই আঙুল উঠছে চিনের বিরুদ্ধে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ড্রোন চিনে তৈরি হলেও হয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে পাকিস্তানে এই ড্রোনের যন্ত্রাংশ একত্রিত হয়েছিল, এই সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। সবটাই নির্ভর করছে তদন্তের ওপর।
উল্লেখ্য,জম্মু বিমানঘাঁটির হেলিকপ্টার হ্যাঙ্গারের কাছেই হয়েছে বিস্ফোরণ। হ্যাঙ্গারে থাকে এম-১৭ কপ্টার, পণ্যবাহী বিমান। ২ বায়ুসেনা কর্মী আকাশ থেকে বোমা পড়তে দেখেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে কি বায়ুসেনার হেলিকপ্টারকেই টার্গেট করেছিল হামলাকারীরা। সে প্রশ্নও উঠছে। কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে কথা হয়েছে। তারপরেই এই হামলায় কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: ‘মুখ ফসকে লাদেনকে শহিদ বলে ফেলেছিলেন ইমরান’