জম্মুতে ফের ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা, গুলি করে ড্রোন নামাল পুলিশ, উদ্ধার বিস্ফোরক

ভারত -পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার ভিতরে আখনুরের কানাচকে ওই ড্রোনের দেখা মেলে। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।

জম্মুতে ফের ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা, গুলি করে ড্রোন নামাল পুলিশ, উদ্ধার বিস্ফোরক
এই ড্রোনটিকেই গুলি করে নামানো হয়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2021 | 11:02 AM

জম্মু: ফের রাতের আকাশে ড্রোনের দেখা। তবে এ বার চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে পারল না ড্রোন। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মুর কানাচকে একটি ড্রোনকে উড়তে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। কয়েকবারের চেষ্টায় গুলি করে নামানো হয় ড্রোনটিকে। সেই ড্রোন থেকে উদ্ধার হয় ৫ কেজি আইইডি বিস্ফোরক।

গতকাল রাতেই ফের একবার ড্রোনের দেখা মেলে জম্মুতে। ভারত -পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৮ কিলোমিটার ভিতরে আখনুরের কানাচকে ওই ড্রোনের দেখা মেলে। সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই ড্রোনটি একটি হেক্সাকপ্টার ড্রোন ছিল। তার সঙ্গে পাঁচ কেজি আইইডি বিস্ফোরকও উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, জম্মুর বিমানঘাঁটির আদলেই ফের একবার বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। ড্রোনটি পাকিস্তান থেকে এসেছে বলেই মনে করা হয়েছে।

এই বিষয়ে প্রাক্তন উইং কম্যান্ডার আরকে দাস বলেন, “বিষয়টি খুবই বড় ও গুরুতর। এতদিন ড্রোনের দেখা মিললেও তা গুলি করে নামানো সম্ভব হচ্ছিল না। গতকাল রাতে ড্রোনটি নামানো সম্ভব হওয়ায় এ বার এই ড্রোনের উপর গবেষণা করে অনেক তথ্য জানা যাবে। ড্রোনগুলি কোন দেশ তৈরি করেছে, তার গতিবেগ কত, কত কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে, এর বিশেষত্ব কী, এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানা যাবে।”

অন্যদিকে, প্রাক্তন সেনা কর্তা কেকে গাঙ্গুলি বলেন, “চিন সবসময়ই চেষ্টা করছে ভারতের ক্ষতি করার। পাকিস্তানকেও একই পরামর্শ দিচ্ছে তারা। ভারতকে বিব্রত করার জন্যই বারংবার ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।”

আইইডি উদ্ধারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চিন ও পাকিস্তান দুই দেশ মিলেই ভারতের সীমান্তবর্তী একাধিক অঞ্চল দখল করার চেষ্টা করছে। সেই কারণেই এই ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। চিনের লক্ষ্য, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে বছরের পর বছর এভাবেই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এরপরে কয়েক বছর বাদে দাবি করবে যে, এটাই তাদের সীমান্ত।” আরও পড়ুন: ৩ মাসের বিরতির পর ফের বৈঠক চায় চিন, কোন অংশে সেনা প্রত্যাহারের আলোচনা হবে এ বার?