G20 Summit: জানুয়ারিতেই জম্মু-কাশ্মীরে বাইডেন-সহ ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান! বসছে বিরাট আন্তর্জাতিক সম্মেলন

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে জম্মু ও কাশ্মীরে। এই বিরাট আয়োজনের সামগ্রিক সমন্বয়ের জন্য গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের এক উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

G20 Summit: জানুয়ারিতেই জম্মু-কাশ্মীরে বাইডেন-সহ ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান! বসছে বিরাট আন্তর্জাতিক সম্মেলন
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর বসছে উপত্যকায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 8:45 AM

শ্রীনগর: বলা যেতে পারে রাজসূয় যজ্ঞের আয়োজন হতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে, বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিরা সমবেত হবেন ভূস্বর্গে। উপলক্ষ ২০২৩ সালের জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। হ্যাঁ, ২০২৩ সালের এই বৈশ্বিক সম্মেলন হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরেই। এই বিরাট আয়োজনের সামগ্রিক সমন্বয়ের জন্য গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের এক উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের অগাস্টে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে পূর্ববর্তী রাজ্যকে ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়েছিল। তারপর থেকে তো বটেই, জম্মু ও কাশ্মীরের ইতিহাসেই এই প্রথম এত বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান হবেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির আবাসন ও নগরোন্নয়ন বিভাগের প্রধান সচিব। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, পরিবহন, পর্যটন, আতিথেয়তা ও প্রোটোকল এবং সংস্কৃতি বিভাগের প্রশাসনিক সচিবরা। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য সচিব এবং আবাসন ও নগরোন্নয়ন বিভাগের মুখ্য সচিবকে, এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল স্তরের নোডাল অফিসার হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।

১৯৯৯ সালে জি২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর গঠন করা হয়েছিল। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই গোষ্ঠীর সদস্য। গোটা বিশ্বের জিডিপির ৮০ শতাংশেরও বেশি এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে এই গোষ্ঠী। বিশ্বের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ এই গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির নাগরিক। প্রথম থেকেই ভারত এই শক্তিশালী অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্য। বিদেশ মন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল, ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকেই ভারত এই গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করবে এবং ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো জি২০ রাষ্ট্রনেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে এই গোষ্ঠীর জন্য ভারতের শেরপা নিযুক্ত করা হয়েছিল।

কাশ্মীর উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি সরকারে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। উপত্যকার বিজেপি মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর বলেছেন, ‘জি২০ শীর্ষ সম্মেলন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির জন্য তো বটেই সমগ্র দেশের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। আগে এসব বিদেশে হতো, এখন এখানেও হচ্ছে। ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানির মতো শক্তিশালী দেশ এর সদস্য। তারা ভবিষ্যতের রোডম্যাপ তৈরি করবে। জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। প্রমাণিত হল, প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়নে কাজ করছেন। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর, উপত্যকায় মাটিতে বড় পরিবর্তন হয়েছে। এই শীর্ষ সম্মেলন এখানে অনুষ্ঠিত হবে, কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পেরেছিল?’ ‘এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন, জম্মু ও কাশ্মীরকে শান্তির দিকে নিয়ে যাবে’, বলে আশা প্রকাশ করেছেন জনতা দল ইউনাইটেডের রাজ্য সভাপতি জি এম শাহীন।