Jharkhand Political Crisis: মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণ নিয়ে জল্পনার মাঝেই রাজ্যপালের কাছে শাসক বিধায়করা

Jharkhand: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেছিল বিরোধী বিজেপি। এরপর থেকে সেরাজ্যে আরও বেশি সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

Jharkhand Political Crisis: মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণ নিয়ে জল্পনার মাঝেই রাজ্যপালের কাছে শাসক বিধায়করা
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2022 | 4:19 PM

রাঁচি: ঝাড়খণ্ডে নজিরবিহীন রাজনৈতিক সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছে ক্ষমতাসীন জেএমএম-কংগ্রেস জোট। ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ডের শাসক শিবিরের বিধায়কদের কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরের এক রিসর্টে নিয়ে গিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে আরও এক নতুন তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের ১০ জন বিধায়কের প্রতিনিধি দল রাজ্যপাল রমেশ বেইসের সঙ্গে বিকেল ৪টে নাগাদ দেখা করবেন। প্রতিনিধি দলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডির সিনিয়র নেতা ও অভিজ্ঞ বিধায়করা থাকবেন।

একদিন আগেই ছত্তীসগঢ়ের মে ফেয়ার রিসর্ট থেকে ঝাড়খণ্ড সরকারে ৪ জন মন্ত্রী রাজ্যে ফিরে এসেছিলেন। কংগ্রেস শাসিত ছত্তীসগঢ়ের রিসর্টে এখনও শাসক শিবিরের ২৮ জন বিধায়ক রয়েছেন। রাজ্যে ফেরার আগে এক মন্ত্রী জানিয়েছিলেন বৃহস্পতিবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যই তাঁরা রাজ্যে ফিরে আসছেন। দেশের পূর্বদিকে অবস্থিত এই রাজ্যে রাজনৈতিক সংকট পরিস্থতি তৈরি হওয়ার পর ‘ঘোড়া কেনাবেচা’ আটকাতে শাসক শিবিরে বিধায়কদের বিশেষ চাটার্ড বিমানে ছত্তীসগঢ়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম-কংগ্রেস জোটের ৪৯ জন বিধায়ক রয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করেছিল বিরোধী বিজেপি। এরপর থেকে সেরাজ্যে আরও বেশি সংকট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। লাভজনক মামলায় জেএমএম প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে পিটিশন দাখিল করেছিল গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাখিল করা পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ অগস্টই নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা রাজ্যের রাজ্যপালকে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এখনও অবধি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের কথা সরকারিভাবে প্রকাশ্যে না এলেও বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল যে নির্বাচন কমিশন রাজ্যপাল সুপারিশ করেছে খনি লিজ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে হেমন্ত সোরেনকে যেন অপসারণ করা হয়। অন্যদিকে সবকিছুতেই বিজেপির ইন্ধন দেখছে শাসক শিবির। আগামী দিনে এই রাজ্যে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।