Jiban Krishna Saha: পুজোয় কি জেলে থাকতে হবে? সুপ্রিম ‘দুয়ারে’ কাতর আর্জি তৃণমূল বিধায়কের
Jiban Krishna Saha: একটানা প্রায় তিনদিন তল্লাশি চালানোর পর বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুকুরের জল ছেঁচে ফোনও উদ্ধার করেছিল সিবিআই। সেই ফোন থেকে অনেক কথোপকথনের তথ্য সামনে আসে পরবর্তীতে।
নয়া দিল্লি: মাস ছয়েক আগে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তল্লাশি চালানোর সময় যে কায়দায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা পুকুরে ফোন ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, তা সিনেমার থেকে কিছু কম নয়। সেই সব ফোন ঘেঁটে পরবর্তীতে একাধিক তথ্য় আসে গোয়েন্দাদের হাতে। এবার সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানালেন সেই বিধায়ক। যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আর্জি নিয়ে এর আগে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তাতে কোনও লাভ হয়নি। এবার তাই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
গত এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। এরপর থেকে জেলে আছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও জমা পড়েছে আদালতে। এই যুক্তিতেই জামিন চেয়েছেন বিধায়ক। তাঁর প্রশ্ন, চার্জশিট জমা হওয়ার পরও কেন জেলবন্দি করে রাখা হবে তাঁকে? বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এস বোপান্না ও পি এস নরসিমহার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। সিবিআই-কে এবিষয়ে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
গত জুলাই মাসে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সেই চার্জশিটে শুধু টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগের কথাই উল্লেখ করা হয়নি, সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠেছে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টারও। একটানা প্রায় তিনদিন তল্লাশি চালানোর পর বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুকুরের জল ছেঁচে ফোনও উদ্ধার করেছিল সিবিআই। পরে সেই ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখা হয়।