ভারতে ১ ডোজ়ের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করতে চায় জনসন অ্যান্ড জনসন
সূত্রের খবর, ১২ এপ্রিল অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে গ্লোবাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিভিশনের কাছে এই আবেদন জমা করেছে জনসন।
নয়া দিল্লি: দেশে ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়েছে তিনটি করোনা প্রতিষেধক (COVID Vaccine)। কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই টিকাকরণ চলছে। অল্পদিনের মধ্যেই টিকাকরণ শুরু হবে রাশিয়ার করোনা টিকা স্পুটনিক ভি-র টিকাকরণ। এ বার দেশে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করার জন্য আবেদন করল জনসন অ্যান্ড জনসন। দেশে-বিদেশ মূলত ২ ডোজ়ের ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পেয়েছে। এ বার ট্রায়াল ও আমদানি লাইসেন্সের জন্য ভারত সরকারের কাছে অনুমতি চাইল জনসন।
জনসন ট্রায়াল চালানোর অনুমতি পাবে কি না তা ঠিক করবে সেন্ট্রাল ড্রাগর স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অরগানাইজেশন। দেশে প্রথমে করোনা প্রতিষেধকে অনুমোদন পেয়েছিল কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন। কিন্তু করোনার বাড়তি সংক্রমণ রুখতে ও টিকাকরণে আরও দ্রুততা আনতে কয়েকদিন আগেই ছাড়পত্র পেয়েছে রাশিয়ার প্রতিষেধক স্পুটনিক ভি। তখনই কেন্দ্র জানিয়েছিল বিদেশি টিকার অনুমোদনের ক্ষেত্রে দ্রুততা আনবে তারা। সেই মতো ট্রায়ালের আবেদন জমা করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন।
সূত্রের খবর, ১২ এপ্রিল অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে গ্লোবাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিভিশনের কাছে এই আবেদন জমা করেছে জনসন। কিন্তু তারপর কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য ফের সোমবার আবেদন করেছে জে অ্যান্ড জে। গতকালই দেশে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এমতাবস্থায় সকলকে টিকা দিতে অনেক ভ্যাকসিনের প্রয়োজন। তাই বিদেশি টিকা এলে লাভই হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জে অ্যান্ড জে-এর ভ্যাকসিন ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উষ্ণতায় ৩ মাস পর্যন্ত ঠিক থাকে।
আরও পড়ুন: দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমলেও ভয় বাড়িয়ে বাড়ল মৃত্যুর হার! আজ কোভিড টিকা-বৈঠকে মোদী