AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

India’s Omicron Tally: মাত্র ১৭ দিনেই ২০০ ছুঁল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা! সংক্রমণ রুখতে কতটা প্রস্তুত দেশ?

Omicron Cases in India: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ওমিক্রন পরিস্থিতি ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো পর্যালোচনা করে রাজ্যসভায় বলেন, "ভারত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত। আগামী দুই মাসের মধ্যেই দেশের টিকা উৎপাদন বাড়িয়ে ৪৫ কোটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।"

India's Omicron Tally: মাত্র ১৭ দিনেই ২০০ ছুঁল ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা! সংক্রমণ রুখতে কতটা প্রস্তুত দেশ?
২০০ ছুঁল দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। ছবি: PTI
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2021 | 12:44 PM
Share

নয়া দিল্লি: এক ধাক্কায় দুশোয় পৌঁছে গেল ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-এ পৌঁছেছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৭৭ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

চলতি মাসের শুরুতেই দেশের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। গত ৪ ডিসেম্বর কর্নাটকে  (Karnataka) বিদেশ ফেরত এক যাত্রীর শরীরে প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণ পাওয়া যায়। এরপরই মহারাষ্ট্র (Maharashtra), কেরল(Kerala),দিল্লি (Delhi) হয়ে মোট ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেই সর্বাধিক ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। দুই রাজ্যেই বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪। এছাড়া তেলঙ্গনায় ২০ জন, কর্নাটকে ১৯ জন, রাজস্থানে ১৮ জন, কেরলে ১৫ জন ও গুজরাটে ১৪ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। তামিলনাজডু, অন্ধ্র প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গেও একজন করে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩২৬ জন। রবিবার এই সংখ্য়াটা ছিল ৬ হাজার ৫৬৩ জন। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় আরও কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে, দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৫৩ জনের। দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা  ৭৯ হাজার ৯৭ জন।গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে হারিয়ে দেশে মোট ৮ হাজার ৪৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার ৬০।

দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলা করোনার এই নতুন ভ্য়ারিয়েন্টের কমপক্ষে ৩০ থেকে ৫০ বার অভিযোজন হওয়ায়, এটি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকেও বেশি শক্তিশালী এবং করোনার টিকাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে। দ্রুত হারে গোটা দেশে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই ভ্যারিয়েন্টকে “উদ্বেগের কারণ” (Variant of Concern) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya) ওমিক্রন পরিস্থিতি ও দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো পর্যালোচনা করে রাজ্যসভায় বলেন, “ভারত করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত। আগামী দুই মাসের মধ্যেই দেশের টিকা উৎপাদন বাড়িয়ে ৪৫ কোটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।” তিনি জানান, যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে ওষুধ ও অক্সিজেন মজুত করে রাখা হয়েছে এবং সরবরাহের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া  ৪৮ হাজার ভেন্টিলেটর সমস্ত রাজ্যের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে কতটা সুরক্ষিত, সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে এইমস প্রধানও বলেছেন, “আমাদের সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত এবং আশা করা উচিত যে ব্রিটেনের মতো পরিস্থিতি যেন খারাপ না হয়। ওমিক্রন নিয়ে আমাদের আরও তথ্যের প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “যখনই বিশ্বের কোনও প্রান্তে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, আমাদের উচিত দেশের পরিস্থিতির উপর কড়া নজরদারি রাখা এবং যে কোনও পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখা। বিনা প্রস্তুতিতে বিপদের মুখে না পড়ে, তার তুলনায় প্রস্তুতি নিয়ে রাখাই উচিত।”