Justice A M Khanwilkar : অবসর নিলেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধর্মযোদ্ধা’ বিচারপতি খানউইলকর

Justice A M Khanwilkar : দীর্ঘ পাঁচ বছরের রায়দানের পর শুক্রবার অবসর নিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এম খানউইলকর। সবরীমালা থেকে ইডিকে ছাড়পত্র একাধিক মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন তিনি।

Justice A M Khanwilkar : অবসর নিলেন 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধর্মযোদ্ধা' বিচারপতি খানউইলকর
ছবি সৌজন্যে : টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2022 | 1:29 PM

নয়া দিল্লি : শুক্রবার অবসর নিয়েছেন বিচারপতি এএম খানউলকর। সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় বর্ষীয়ান বিচারপতি অবসর নেওয়ার সময় বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের তাঁদের ‘ভালবাসা ও স্নেহের’ জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১৩ মে তিনি দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তারপর একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি খানউইলকর। গত পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন যুগান্তকারী ও গুরুত্বপূর্ণ রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে বেঞ্চের অংশ ছিলেন তিনি।

২০১৭ সালের ইডি-র এক্তিয়ার নিয়ে মামলা :

এই ৫ বছরের মেয়াদে খানউইলকর মোদী সরকারের আমলে আনা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইনের সংশোধনীর সাংবিধানিকতাকে বহাল রেখেছেন। এই তিন আইন হল আর্থিক দুর্নীতি বিরোধী আইন (Prevention of Money Laundering Act), বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (Unlawful Activities Prevention Act), ও বিদেশী অবদান (নিয়ন্ত্রণ) সংশোধনী আইন (FCRA)। সম্প্রতি গত ২৭ জুলাই ইডির এক্তিয়ার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিল আদালত। ইডির অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ইডি-র ক্ষমতাই বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর্থিক দুনীতির অভিযোগে কোনও অভিযুক্ত ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করার ছাড়পত্র দিয়েছিল খানউইলকরের বেঞ্চ।

বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন নিয়ে মামলার রায় :

২০১৯ সাল। ‘NIA বনাম জহুর আহমেদ শাহ ওয়াতালি’-র মামলায় খানউলকরের নেতৃত্বে দুই বিচারপতির বেঞ্চ UAPA-র অধীনে অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশি শর্ত আরোপ করেছিল। সেই রায়ে বলা হয়েছিল যে, কোনও ট্রায়াল কোর্ট অভিযুক্তকে জামিন দিতে অস্বীকার করতে পারে যদি সেই অভিযুক্ত ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ সত্যি বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে। সেই রায়ে জানানো হয়েছিল যে, সেই মামলার ডায়েরিতে পুলিশের প্রমাণ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। দিল্লির দাঙ্গা, ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্তদের জামিন দিতে অস্বীকার করার ক্ষেত্রে এই মামলার উল্লেখ করা হয়েছিল।

গত এপ্রিল মাসে বিচারপতি খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এফসিআরএ-তে সংশোধনী বহাল রেখেছিল। এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগ পেতে এনজিওগুলোর কঠোর নিয়ম জারি হয়েছিল। বিচারপতি খানউইলকরের রায়ে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি অনুদানের দ্বারা দেশীয় রাজনীতি প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।’

এছাড়াও গত বছর জানুয়ারিতে মোদী সরকারের নতুন সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে সম্মতি দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আধার ও সবরীমালা মামলায় পাঁচ বিধায়কের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেই বেঞ্চের অংশ ছিলেন বিচারপতি খানউইলকর। সবরীমালা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সেই বেঞ্চ মহিলাদের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। সেই বেঞ্চ জানিয়েছিল, সবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মেয়ে ও মহিলারা পুজো দিতে যেতে পারেন। বিভিন্ন বড় বড় রায়ের অংশ হওয়ার পরেও এর এক বছর পরেই তিনি নিজের রায়ের পুনর্বিবেচনা করার কথা ভাবেন।