Kanthi Municipal election: ‘তাড়া নেই’, সৌম্যেন্দুর করা কাঁথি পুরভোট মামলার পিছল ‘সুপ্রিম’ শুনানি
Kanthi Municipal election: কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী।
নয়া দিল্লি: কাঁথির সিসিটিভি মামলা পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। কাঁথি পুরভোটের কারচুপি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য ভোটকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালার বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি। দু’পক্ষের কথা শুনলেও মামলা জরুরি ভিত্তিতে শোনার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ১১ জুলাই পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে সেই মামলা।
২০২২-এর ফেব্রুয়ারি মাসে পুরভোট হয়েছিল রাজ্যে। আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, ‘ভোট হয়েছে এক বছরেরও বেশি আগে। তাই মামলা প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে।’
এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ ছিল, কাঁথিতে পুরভোটে বুথ দখল, কারচুপি ও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সেই মামলাতেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।
কমিশনের আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, ‘বহুদিন আগে ভোট শেষ হয়েছে। যিনি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন, তিনি ভোটের প্রার্থীও ছিলেন না, ভোটারও ছিলেন না। সাধারণত কেউ পুনর্নির্বাচনের আর্জি জানালে প্রমাণ রেখে দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে আর সেই আর্জি জানানোর সময় নেই। কোনও এফআইআরও হয়নি।’ অন্যদিকে সৌমেন্দুর আইনজীবী পিএস পাতওয়ালা বলেন, ‘মোটেই এই মামলা প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি।’
দু পক্ষের কথা শুনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এই মামলা জরুরি ভিত্তিতে শুনানির প্রয়োজনীয়তা নেই।