‘কাশ্মীর পৃথক দেশ’, বিতর্কিত মন্তব্যে জড়াল সিধুর নাম
নভজ্যোত সিং সিধুর উপদেষ্টা মালবিন্দর সিং মালি লিখেছেন, 'কাশ্মীর আলাদা দেশ। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই অবৈধভাবে দখলদারি চালাচ্ছে।'
পঞ্জাব: কাশ্মীর (Kashmir) একটা পৃথক দেশ। টুইটে এমনই মন্তব্য করেছেন পঞ্জাবের কংগ্রেস প্রধান নভজ্যোত সিং সিধুর (Navjyot Singh Sidhu) উপদেষ্টা মালবিন্দর সিং মালি। বুধবার টুইটে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘কাশ্মীর একটা পৃথক দেশ। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই অবৈধভাবে দখল করেছে কাশ্মীর। এই দেশ আসলে কাশ্মীরিদের।’ এই টুইট ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেস নেতারাও।
শিরোমনি অকালি দলের নেতা বিক্রম মাজিথিয়া বলেন, ‘এই টুইটে শহিদদের অসম্মান করা হয়েছে, যারা কাশ্মীরের মাটি রক্ষার জন্য লড়াই করেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাশ্মীর কাশ্মীরিদের দেশ মানে কাশ্মীর পৃথক একটা দেশ।’ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে তিনি প্রশ্ন তুলেছেনম ‘এটা কি শহিদদের অসম্মান করা নয়?’ তাঁর দাবি, ‘রাহুল গান্ধী যদি মালির বক্তব্যকে সমর্থন করেন, তাহলেই কংগ্রেসের আসল মুখ বেরিয়ে আসবে। যদি তা না হয়, তাহলে মালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কংগ্রেস।’ সিধুর পাক সফরের কথা মনে করিয়ে দিয়ে অকালি দলের এই নেতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং যখন দাবি করেন যে পঞ্জাবের শান্তি নষ্ট করছে পাকিস্তান, তখন সিধু পাকিস্তানে গিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।’
মালির এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে গেরুয়া শিবির। অবিলম্বে মালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে তারা। বিজেপি নেতা বিনীত যোশী বলেন, ‘বহু সেনা ও পুলিশ কাশ্মীরকে পাক জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য প্রাণ দিয়েছে। পঞ্জাবের বহু মানুষ শহিদ হয়েছেন দেশের জন্য। সেই শহিদদের আত্মত্যাগকে অপমান করেছেন মালি। পাশাপাশি সিধুকে নিশানা করে তিনি বলেনম ‘বিজেপিই সিধুকে রাজনৈতিক পরিচয় দিয়েছে। অথচ বিশ্বাসভঙ্গ করে কংগ্রেসে যোগ দেন সিধু। বিজেপি নেতার কথায়, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য যে কোনও সীমা লঙ্ঘন করতে পারেন সিধু আর এখন শহিদদের পরিবারে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পাক সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে ধরার সেই দৃশ্যের কথা উল্লেখ করেছেন বিজেপি নেতাও। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য সিধুর মনে একটা জায়গা আছে। বাজওয়াকে জড়িয়ে ধরার সেই দৃশ্য এখনও সবার মনে টাটকা। সিধু ভারতে বাস করেন ঠিকই, তবে তাঁর মন পড়ে থাকে অন্য কোথাও।’
এই ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি নভজ্যোত সিং সিধু। তবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অমরিন্দরের ঘনিষ্ঠরা। পঞ্জাব সরকারের মুখপাত্র রাজ কুমার ভারকা বলেন, ‘কাশ্মীর একটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। আমার মনে হয় কারও এই ধরনের মন্তব্য করা উচিৎ নয়। আমি জানি না কী কারণে মালি এই মন্তব্য করেছেন, এ ব্যাপারে কথা বলার একটা সীমা থাকা দরকার।’ মালবিন্দর সিং অবশ্য এখনও অবধি এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। আরও পড়ুন: প্রয়োজনে ৩১ অগস্টের পরও কাবুলে থাকবে মার্কিন সেনা, আশ্বাস বাইডেনের