New Omicron Cases in India: কেরলেও পৌঁছল ওমিক্রন, ৩ রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত আরও ৩
New Omicron Cases in India: ওমিক্রন সংক্রমণ ও নজরদারি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ পুড়েছে কর্নাটক প্রশাসনের। প্রথম যে দুজন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল, সম্প্রতিই জানা যায়, তাদের মধ্য়ে একজন নিখোঁজ। পরে জানা যায়, প্রশাসনকে না জানিয়েই ওই ব্যক্তি দেশ থেকে দুবাইয়ে চলে গিয়েছেন।
নয়া দিল্লি: দেশে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ওমিক্রন(Omicron)-র থাবা। রবিবারই চণ্ডীগঢ় (Chandigarh) ও অন্ধ্র প্রদেশে (Andhra Pradesh) দুই আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল। দুই রাজ্যে এটিই প্রথম ওমিক্রন সংক্রমণ। বিকেল গড়াতেই সেই তালিকায় নাম লেখাল কেরল(Kerala)-ও। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ (Veena George) জানান, বিদেশ ফেরত এক ব্যক্তির দেহে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি মিলেছে।
কেবল কেরলই নয়, মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও কর্নাটক(Karnataka)-তেও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে ওমিক্রন সংক্রমণ শুরু হয়েছিল কর্নাটক থেকেই। রবিবার সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়, ৩৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ব্যক্তি সম্প্রতিই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরেছিলেন। বর্তমানে তিনি একটি সরকারি হাসপাতালে একান্তবাসে রয়েছেন এবং তাঁর যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই নিয়ে কর্নাটকে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনে।
কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ কে সুধাকর বলেন, “আক্রান্ত ওই ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছেন। বর্তমানে তিনি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্ত ওই ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে যে ৫ জন ও পরোক্ষ সংস্পর্শে ১৫ জন এসেছিলেন, তাদের সকলেরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা পরীক্ষার জন্য। আপাতত তাদের একান্তবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ওমিক্রন সংক্রমণ ও নজরদারি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ পুড়েছে কর্নাটক প্রশাসনের। প্রথম যে দুজন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল, সম্প্রতিই জানা যায়, তাদের মধ্য়ে একজন নিখোঁজ। পরে জানা যায়, প্রশাসনকে না জানিয়েই ওই ব্যক্তি দেশ থেকে দুবাইয়ে চলে গিয়েছেন। ওমিক্রনে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুয়ো করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একের পর এক “অতি সংক্রামক” ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই কর্নাটক প্রশাসনের তরফে করোনাবিধি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের টিকাকরণের জন্য উৎসাহিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানান, যে সমস্ত পড়ুয়ারা হস্টেলে থাকেন এবং যে জায়গাগুলি সংক্রমণের কেন্দ্র বা ক্লাস্টার হিসাবে পরিণত হয়েছে, তার জন্য় আলাদাভাবে নির্দেশিকা জারি করা হবে।
করোনা টিকাকরণের হার বাড়াতে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যারা এখনও করোনা টিকা নেননি, তাদের শপিং মল, সিনেমা হলের মতো জায়গায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ভিন রাজ্য় থেকে, বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও কেরল থেকে আগত ব্যক্তিরা যদি টিকাপ্রাপ্ত না হন, তাদেরও রাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এছাড়া বিশেষ থেকে আগত সমস্ত যাত্রীদেরই বাধ্যতামূলকভাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
অপর একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মৃদু বা মাঝারি উপসর্গযুক্ত রোগীদের উপসর্গ দেখা দেওয়ার কমপক্ষে ১০ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। এক্ষেত্রে রোগীকে অবশ্যই শেষের তিনদিন উপসর্গহীন হতে হবে, টানা চারদিন ধরে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশ থাকতে হবে এবং দুটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসতে হবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও সুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সাতদিন বাড়িতে একান্তবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য যাচাই ও জেলা নজরদারি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, কেরলেও প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। গতকালই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, সম্প্রতি ব্রিটেন থেকে আগত এক ব্য়ক্তি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ওই রোগী স্থিতিশীলই রয়েছেন। তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, কা জানতে কন্টাক্ট ট্রেসিং শুরু হয়েছে।