একদিনে ৩০ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ! কেরলকে দেখে বাকিদের শিক্ষা নিতে বলল কেন্দ্র

অন্যান্য রাজ্যে মৃত্যুর হারে লাগাম পরানো গেলেও শয়ে শয়ে মৃত্যু হচ্ছে এই রাজ্যে। বুধবার নতুন করে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণের হার।

একদিনে ৩০ শতাংশ বাড়ল সংক্রমণ! কেরলকে দেখে বাকিদের শিক্ষা নিতে বলল কেন্দ্র
দেশে নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 11:13 PM

নয়া দিল্লি: করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় গোটা দেশে নজির স্থাপন করেছিল কেরল। জনমানসে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল কেরল মডেলের প্রশংসা। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরই ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গিয়েছে সেই কেরল মডেল। গোটা দেশের মোট দৈনিক সংক্রমণের ৫০ শতাংশরই বেশি অবদান থাকছে কেরলের। অন্যান্য রাজ্যে মৃত্যুর হারে লাগাম পরানো গেলেও শয়ে শয়ে মৃত্যু হচ্ছে এই রাজ্যে। বুধবার নতুন করে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণের হার।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় কেরলে নতুন করে ৩১ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দিন দুয়েক আগে পর্যন্তও গোটা দেশে দৈনিক আক্রান্তের গড় ছিল ৩০ হাজারের আশেপাশে। এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণী রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। পশ্চিমবঙ্গে যখন পজিটিভিটির হার দেড় শতাংশের কাছাকাছি থাকছে, তখন কেরলে সেটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ শতাংশে। বুধবারের তথ্য অনুযায়ী, কেরলে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৯.০৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

জেলাওয়াড়ি সংক্রমণের নিরিখে ৪ হাজারের বেশি সংক্রমণ-সহ শীর্ষেই রয়েছে এরনাকুলাম। এরপর রয়েছে থ্রিশূর, কোঝিকোড়, মাল্লাপুরামের মতো জেলার নাম। দক্ষিণের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব ওনামের কারণেই আচমকা সংক্রমণে এতটা বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গত ২১ অগস্ট কেরলে ওনাম উৎসব পালিত হয়েছে। তারপরই যে সংক্রমণের গ্রাফ বৃদ্ধি পাবে সেটা বুঝেই আগে থেকে বাড়তি নজরদারি চালাতে বলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। বাস্তবেও সংক্রমণের উর্ধ্বমুখী ছবিটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শুধু তো কেরল নয়। আসন্ন কয়েকমাসে একাধিক উৎসবে মেতে উঠবে দেশের নানা রাজ্য। আর এই সময়টাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ফলে অন্যান্য রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের আবেদন, সবাই যেন কেরলকে দেখে শিক্ষা নেয়।

কেরলের শোচনীয় পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও ইতিমধ্যেই বড় আকার ধারণ করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ভি মুরলীধরন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে কটাক্ষ করে টুইট করেছেন। তিনি লেখেন, “কেরলের কোভিড পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। পিনারাই বিজয়ন পরিষ্কারভাবে মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছেন।”

যদিও একটা বিষয় এ ক্ষেত্রে সাফ করে দেওয়া প্রয়োজন। এমনটা নয় যে কেরলে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেশি বলেই আক্রান্তও বেশি ধরা পড়ছে। বাস্তবে, গত দুই সপ্তাহে কেরলের দৈনিক নমুনা পরীক্ষার হার প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। কিন্তু পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের হার বেড়েছে একই গতিতে। আরও পড়ুন: অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার ৪-৫ মাস পরই উধাও প্রতিরোধ ক্ষমতা, চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষকদের হাতে