Ladakh & Kargil: এ বার লাদাখ ও কার্গিলের রাজনৈতিক নেতাদের নিয়েও বৈঠক ডাকল কেন্দ্র
Ladakh & Kargil all Party Meet: আগামী ১ জুলাই সকাল ১১ টায় এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। যদিও লাদাখ এবং কার্গিলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পৌরহিত্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করবেন না।
নয়া দিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে সকল রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বার লাদাখ এবং কার্গিলের পালা। সূত্রের খবর, এ বার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ এবং কার্গিলের সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কেন্দ্র। ফলে জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে, তবে কি এ বার কেন্দ্রশাসিত লাদাখকেও রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার কথ ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার? আগামী ১ জুলাই সকাল ১১ টায় এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। যদিও লাদাখ এবং কার্গিলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পৌরহিত্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করবেন না।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের রাজ্য বিষয়ক মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এই বৈঠকটির আয়োজন করছেন তাঁরই বাসভবনে। আগামী ১ জুলাই সকাল ১১টায় বৈঠকটি ডাকা হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরের ৪ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে চলতি সপ্তাহে দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বৈঠক ডেকেছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে ইঙ্গিত মিলেছিল, কেন্দ্র জম্মু কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া বিষয়ে পদক্ষেপ করছে এবং দ্রুত নির্বাচন করার কথাও ভাবছে। একই চিন্তাভাবনা লাদাখের ক্ষেত্রেও থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দিনটা ছিল ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট। সংসদে এক ঘোষণার মাধ্যমে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জম্মু কাশ্মীরের মানচিত্রকে দু’ভাগে ভেঙে লাখাদকে আলাদা করে দেওয়া হয়। লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে কেন্দ্র। জম্মু কাশ্মীরেরও কার্যকর হয় কেন্দ্রীয় শাসন। সেই সঙ্গে গৃহবন্দি করা হয় উপত্যকার সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের। দীর্ঘ কয়েকমাসের জন্য কার্যত বন্ধ থাকে ইন্টারনেট পরিষেবা। তারপর থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখোমুখি হননি কাশ্মীরের নেতারা।
আরও পড়ুন: টিকাকরণের গতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, এনজিও-গুলিকে এগিয়ে আসার বার্তা
এরপর কেটেছে অনেকটা সময়। ধীরে ধীরে গৃহবন্দি দশা কেটেছে কাশ্মীরের নেতাদের। স্বাভাবিক হওয়ার পথে ফিরছে জনজীবনও। অন্যদিকে, লাদাখের কখনই এতটা কড়াকড়ি করেনি কেন্দ্র। তুলনায় অনেকটা ছাড় দেওয়া হয়েছিল সেখানকার রাজনৈতিক নেতাদের। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে একের পর এক সক্রিয় পদক্ষেপের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকছে, তাতে আগের এই দুই এলাকাই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেতে পারে, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এবার দেখার ১ জুলাইয়ের বৈঠকের পর কী সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া টিকা-ক্যাম্প নিষিদ্ধ, কসবা কাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে কড়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের