Lalu Prasad: জমির বদলে রেলে চাকরি, ফের লালু-রাবড়ির নামে সিবিআইয়ের চার্জশিট

CBI Files Chargesheet Against Lalu Prasad: শুক্রবার (৭ অক্টোবর), জমি-চাকরি কেলেঙ্কারিতে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, তাঁদের কন্যা মিসা যাদব এবং হেমা যাদবের নামে চার্জশিট দাখিল করল সিবিআই।

Lalu Prasad: জমির বদলে রেলে চাকরি, ফের লালু-রাবড়ির নামে সিবিআইয়ের চার্জশিট
লালু যাদব (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Updated on: Oct 07, 2022 | 9:59 PM

নয়া দিল্লি:

আরও বিপাকে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। শুক্রবার (৭ অক্টোবর), জমি-চাকরি কেলেঙ্কারিতে আরজেডি সুপ্রিমো, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল সিবিআই। সিবিআই-এর অভিযোগ, লালুপ্রসাদ যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের কন্যা মিসা যাদব এবং হেমা যাদব, রেলে নিয়োগের বিনিময়ে কিছু ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে জমি নিয়েছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইউপিএ ১ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। সেই সময়ই এই দুর্নীতি ঘটেছিল বলে অভিযোগ সিবিআই-এর। সিবিআই চার্জশিটে রেলওয়ের এক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজারের নামও রয়েছে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরেই জমির বিনিময়ে রেল বিভাগে চাকরির কেলেঙ্কারি সম্পর্কিত একটি প্রাথমিক তদন্ত নথিভুক্ত করেছিল সিবিআই। চলতি বছরের ১৮ মে এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই সময় সিবিআই এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ১৬টি বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছিল। লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়ি, কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক নথি উদ্ধার করেছিল সিবিআই। এর কয়েক মাস আগেই সিবিআই প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদের তৎকালীন অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ভোলা যাদবকে গ্রেফতার করেছিল।

সিবিআই-এর দাবি, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী থাকাকালীন, রেল বিভাগের বিভিন্ন জ়োনে ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগের পরিবর্তে, লালু যাদব ও তার পরিবারের সদস্যরা “আর্থিক সুবিধা” নিয়েছিলেন। চাকরি দেওয়ার পরিবর্তে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে তাঁরা নিজেদের নামে জমি হস্তান্তর করেছেন। সিবিআই জানিয়েছে, পটনার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা, লালু ও তাঁর পরিবারের নিয়ন্ত্রনাধীন এক ব্যক্তিগত সংস্থাকে তাঁদের জমি বিক্রি করেছিলেন অথবা উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।

সব মিলিয়ে শুধু পটনায় প্রায় ১,০৫,২৯২ বর্গফুট জমি লালু যাদব এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা অধিগ্রহণ করেছিলেন। এটা করা হয়েছিল পাঁচটি বিক্রয় দলিল এবং দুটি উপহার দলিলের মাধ্যমে।যদিও তাঁরা জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে, বিক্রেতাকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছিল বলে দেখিয়েছেন, সিবিআই-এর দাবি এই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে চাকরির বিনিময়েই।