Sikkim: বর্ষার জলে ফুঁসছে তিস্তা-কলজ নদী, ধসে ধুয়ে গেল আস্ত ২টি সেতু! সিকিমে বেড়েই চলেছে বিপর্যয়
Landslide: রাজ্যের একাধিক নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কলজ নদী জলসীমা বিপদসীমা অতিক্রম করে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে দেনতামের সঙ্গে পেলিং ও ভালসিংয়ের সংযোগকারী রাস্তা।
গ্যাংটক: বর্ষা প্রবেশ করতে না করতেই বিপত্তি। ভারী বৃষ্টির জেরে ভাসছে পাহাড়ি শহর গ্যাংটক (Gangtok) সহ সিকিমের (Sikkim) বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিপদসীমা(Danger Level) দিয়ে বইতে শুরু করেছে খরস্রোতা নদীগুলি। হড়পা বান (Flah Flood) নেমেছে একাধিক জায়গায়। এবার ভারী বৃষ্টির জেরে শুরু হল ধস (Landslide) নামাও। পশ্চিম সিকিমের বেশ কয়েকটি জায়গায় রবিবার নতুন করে ধস নামে। ধসের জেরে কমপক্ষে ১০০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়ছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রশাসনিক দফতর সহ অন্যান্য ইমারতের। এদিকে একটানা বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে দুটি সেতু ধুয়ে মুছে যাওয়ার খবরও মিলেছে। প্রায় ৩০০ পর্যটক সিকিমে আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিগত তিন-চারদিন ধরেই সিকিমে দুর্যোগ শুরু হয়েছে। একটানা বৃষ্টিতে রাস্তা ধুয়ে মুছে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উত্তর সিকিমের লাচুং-লাচেং। রবিবার পেলিং যাওয়ার রাস্তাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
Indian Army rescued 300 more tourists on 18 Jun stranded due to land slides and roadblock in North Sikkim.Tourists were assisted to cross over the temporary bridge for further movement towards Gangtok. They were provided food, resting place and medical comfort by the Indian Army. pic.twitter.com/RMFwigYdX6
— PRO, GUWAHATI, MINISTRY OF DEFENCE, GOVT OF INDIA (@prodefgau) June 18, 2023
উল্টোদিকে, পশ্চিম সিকিমেও দৃশ্য়টা একই। উত্তরে ও সোপাখা যাওয়ার রাস্তা ভূমিধসের জেরে সম্পূর্ণ সাফ হয়ে গিয়েছে। ওই পথেই দুটি সেতু ছিল। সেগুলিও ভেঙে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আশেপাশের খামার ও মাছ চাষের জায়গাগুলিও লাগাতার বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে।
Road closed at Toong North Sikkim pic.twitter.com/T5GUM7qAcV
— I Love Siliguri (@ILoveSiliguri) June 16, 2023
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের একাধিক নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কলজ নদী জলসীমা বিপদসীমা অতিক্রম করে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে দেনতামের সঙ্গে পেলিং ও ভালসিংয়ের সংযোগকারী রাস্তা। একাধিক কাঁচা বাড়ি, দুটি শশ্মানের ছাউনি ও একটি মাটি খোঁড়ার মেশিন জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। তবে সিকিমের বিপর্যয়ে এখনও অবধি প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে, আবহাওয়া দফতর উত্তর-পূর্ব ভারতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। জানানো হয়েছে, আগামী তিনদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।