ভিডিয়ো: বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভে বাম ছাত্র যুবরা, রাজধানীতেও মইদুল মৃত্যুর আঁচ
বঙ্গভবন পৌঁছনর আগেই হেলি রোডে ব্যরিকেড করে ছাত্রদের আটকে দেয় পুলিশ।
নয়া দিল্লি: বাম ছাত্র-যুবর নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন বাঁকুড়ার মইদুল ইসলাম মিদ্যা (Maidul Islam Midya)। কিন্তু গত ১১ ফেব্রুয়ারি বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজপথ। মিছিলেন উপর লাঠি চালায় পুলিশ। বামেদের দাবি, সেই লাঠির আঘাতেই প্রাণ হারিয়েছেন মইদুল ইসলাম মিদ্যা। এ বার সেই মৃত্যুর আঁচ গিয়ে পড়ল রাজধানীতেও।
কমরেডের মৃত্যুর প্রতিবাদে জেএনইউ থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে মিছিল করেন বাম ছাত্রনেতারা। কিন্তু বঙ্গভবন পৌঁছনর আগেই হেলি রোডে ব্যরিকেড করে ছাত্রদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাম ছাত্র যুবরা। রাস্তায় বসে পড়েন বিক্ষোকারীরা। সেখানেই এসএফআইর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস জানান, যেহেতু মইদুল একমাত্র তাঁর পরিবারের রোজগেরে ছেলে ছিল, তাই তাঁর পরিবারের পাশে সব সময় থাকবে ছাত্র ফেডারেশন।
পাশাপাশি মিছিলের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, “মরে যাওয়ার পর চাকরি ভিক্ষা দিচ্ছেন। ব্যর্থ তৃণমূল সরকার।” ছাত্র যুবদের ভবিষ্যত কী হবে! এই প্রশ্নও ছুড়ে দেন ময়ূখ। ‘তৃণমূল-বিজেপি একই কয়েনের এপিঠ ওপিঠ’, একথা বলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন বাম ছাত্র নেতা। পুলিশের নির্মম হত্যার তীব্র সমালোচনা করেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মোদী ও মমতা, দুই সরকারকেই নিশানা করে শিক্ষা নীতি থেকে শুরু করে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কড়া ভাষার আক্রমণ করেন ময়ূখ। সংসদে মহুয়া মৈত্রর ফ্যাসিবাদ বিরোধী বক্তব্যকে স্মরণ করিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, এই মুখোশের আড়ালে আদপে মোদী সরকারের ফ্যাসিবাদকেই সম্প্রসারণের কাজ চলছে।
বাম ছাত্র যুবদের মিছিলের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করে ময়ূখ বলেন, “মরে যাওয়ার পর চাকরি ভিক্ষা দিচ্ছেন। ব্যর্থ তৃণমূল সরকার।” ছাত্র যুবদের ভবিষ্যত কী হবে! এই প্রশ্নও ছুড়ে দেন তিনি।#Left | #TV9NEWS | #TV9Bangla pic.twitter.com/gGaQ2uE7rU
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) February 16, 2021
আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে ‘মহাগুরুর’ সঙ্গে সাক্ষাৎ আরএসএস প্রধানের, জল্পনা তুঙ্গে
প্রসঙ্গত, মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যে থানা ঘেরাও ও রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে বামেদের ছাত্র সংগঠন। ১০টি বাম ছাত্র যুব সংগঠন আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সমস্ত থানা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা করেছে। পরদিনই রাজ্যের সর্বত্র চলবে রেল অবরোধ। এই ঘটনায় এসএফআই, ডিওয়াইএফআই একযোগে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি করেছে।