TV9’s WITT Summit: যেন সোনার খনি, ভারতের বুলেটপ্রুফ অর্থনীতিতে পাখির চোখ বিশ্বের

TV9’s WITT Summit: পরিকাঠামো, বিনিয়োগ, অন্তর্ভুক্তি এবং স্বদেশীকরণ, এই চার মন্ত্রেই যেন এগিয়ে চলেছে ভারতের বিজয়রথের চাকা। এই চারটিই এখন ভারতের অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধির মূল চার স্তম্ভ। নেপথ্যে সোনার কাঠি ছোঁয়াচ্ছে দেশজোড়া ডিজিটালাইজেশন।

TV9’s WITT Summit: যেন সোনার খনি, ভারতের বুলেটপ্রুফ অর্থনীতিতে পাখির চোখ বিশ্বের
মন্দার ফাঁড়া কাটিয়ে নতুন উদ্যমে গড়িয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির চাকা। বাড়ছে জিডিপি।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Feb 21, 2024 | 7:51 PM

নয়া দিল্লি: রোজই নিত্য-নতুন উদ্যোমে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি। করোনাকালের মন্দার ফাঁড়া কাটিয়ে এখন শুধু নতুন উচ্চতায় নিজেকে মেলে ধরার পালা। শেয়ার বাজার থেকে জিডিপি বৃদ্ধি, সব ক্ষেত্রেই বিশ্বের তাবড় তাবড় সব অর্থনীতিকে পিছনে ফেলছে ভারত। এরইমধ্যে ২৫ এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে হতে চলছে টিভি-৯ নেটওয়ার্কের বার্ষিক কনক্লেভ,  ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে’ গ্লোবাল সামিটের দ্বিতীয় সংস্করণ। দেশের এই ক্রমবর্ধমান শ্রীবৃদ্ধিকে আধার করেই এবারের সম্মেলনের থিম, ‘ভারত: পরবর্তী বড় লাফের জন্য প্রস্তুত’। কীভাবে ক্রমেই বিশ্ব বাজারে ভারত নিজেকে নতুন মোড়কে তুলে ধরছে, কীভাবে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতির বিজয়রথ, এবাবের সম্মেলনে সেসব নিয়েই আলোচনায় বসবেন দেশের সব বড় বড় চিন্তাবিদ থেকে প্রভাবশালীরা। কীভাবে ভারতে বিনিয়োগের জন্য নতুন করে আগ্রহ পাচ্ছেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের বড় বড় সব বিনিয়োগকারীরা, এবারের সম্মেলনে তা নিয়েও বিশদে আলোচনা হতে চলেছে। 

ইতিমধ্যেই মন্দার ছাপ স্পষ্ট জাপান, ব্রিটেনে। একইপথে এগিয়ে চলেছে জার্মানিও। কিন্তু, সেখানে মন্দার ফাঁড়া কাটিয়ে নতুন উদ্যমে গড়িয়েছে ভারতীয় অর্থনীতির চাকা। বাড়ছে জিডিপি। বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি হিসাবে শ্রীবৃদ্ধির নিরিখে ২০২৭ সালের মধ্য়েই ভারত এই দেশগুলিকে পিছনে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেক অর্থনীতিবিদই। 

ভারতের সাফল্যের গল্প

পরিকাঠামো, বিনিয়োগ, অন্তর্ভুক্তি এবং স্বদেশীকরণ, এই চার মন্ত্রেই যেন এগিয়ে চলেছে ভারতের বিজয়রথের চাকা। এই চারটিই এখন ভারতের অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধির মূল চার স্তম্ভ। নেপথ্যে সোনার কাঠি ছোঁয়াচ্ছে দেশজোড়া ডিজিটালাইজেশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে রোজই নিত্যনতুন প্রকল্প ঘোষণা করছে কেন্দ্র। শক্ত হচ্ছে অর্থনীতির ভীত। ছাপ পড়ছে রাজ্যগুলিতেও। উদাহরণ স্বরূপ, উত্তর প্রদেশের কথা বলা যেতে পারে। অর্থনৈতিক ও পরিকাঠামোগত বৃদ্ধির অসাধারণ গল্প রয়েছে সেই রাজ্যে। বিহারও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সাক্ষী হচ্ছে। প্রতিটি রাজ্যই যেন নতুন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছে, বাড়াচ্ছে সহযোগিতার হাত। সব মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে এক নতুন ভারত। তৈরি হচ্ছে নতুন গল্প, ‘ইন্ডিয়া: পয়েজড ফর দ্য নেক্সট বিগ লিপ’। 

অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বেশ ভাল এক বৃদ্ধির হার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। তাতেই আগ্রহ পাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বর্তমানে ভারতের শক্তিশালী আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থাও টানছে তাঁদের। ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশে কাজ করতেও বাড়ছে আগ্রহ। 

বুলেটপ্রুফ অর্থনীতি

অতিরিক্ত খরচ না করেই, ভারত এমন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করেছে যা জীবন বদলে দিয়েছে, যেমন ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস (UPI)। করোনা-মন্দা পরবর্তী সময়ে যা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের। ফুলেফেঁপে উঠছে ভারতের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। শ্রীবৃদ্ধির খতিয়ান একনজরে কেউ দেখলে কেউ যেন বলবেই না কখনও করোনার করাল গ্রাসে পড়েছিল এই দেশ। সোজা কথা, মন্দা যেন কোনও ছাপই রাখতে পারেনি ভারতের অকুতোভয় চিত্তে।

অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধির পাশাপাশি জনসংখ্যার নিরিখে ভারতকে কড়া টক্কর দিতে দেখা যায় চিনকে। সেই চিনের থেকেই বহুলাংশে এগিয়ে থাকবে ভারত।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনের জনতার গড় বয়স যখন ৫০ হবে, তখন ভারতের জনতার গড় বয়স হবে ৩৮। সোজা কথায়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কর্মক্ষম জনসংখ্যা হবে ভারতে। স্বভাবতই বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতা, অর্থনীতিবিদদের নজর ভারতের উপরেই যে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।