Farmers Protest: ট্যাঙ্কারে রূপান্তরিত ট্রাক্টর, লোহার চাদরে মুড়েই আজ দিল্লির পথে কৃষকরা, তীব্র অশান্তির আশঙ্কা
Delhi Chalo March: কৃষক আন্দোলনের জেরে আগেই বন্ধ হয়েছিল পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানা। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন সেখানেই ট্রাক্টর নিয়ে অপেক্ষা করছিল কৃষকরা। তবে পাঁচবার বৈঠকের পরও রফাসূত্র মেলেনি। কেন্দ্রের প্রস্তাব খারিজ করে আন্দোলনেই অনড় কৃষকরা।
নয়া দিল্লি: ফের শুরু আন্দোলন। পাঁচ বছরের জন্য তিন ধরনের ডাল, ভুট্টা ও তুলোর ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) গ্যারান্টি দিতে চেয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে রাজি নন পঞ্জাবের কৃষকরা। আন্দোলনেই অনড় তাঁরা। ফের যাবতীয় দাবি নিয়ে আজ, বুধবার দিল্লি চলো অভিযান করবে কৃষকরা। অশান্তি রুখতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও প্য়ারামিলিটারি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমানা। এদিকে, ব্যারিকেড টপকে দিল্লিতে প্রবেশের জন্য কৃষকরাও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ট্রাক্টরকেই অস্থায়ী ট্যাঙ্কে পরিণত করেছে তাঁরা।
কৃষক আন্দোলনের জেরে আগেই বন্ধ হয়েছিল পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানা। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন সেখানেই ট্রাক্টর নিয়ে অপেক্ষা করছিল কৃষকরা। তবে পাঁচবার বৈঠকের পরও রফাসূত্র মেলেনি। কেন্দ্রের প্রস্তাব খারিজ করে আন্দোলনেই অনড় কৃষকরা।
কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ আটকাতে সীমানায় ব্যাপক নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে সিমেন্টের ব্যারিকেড, কাঁটাতার। শিপিং কন্টেনার দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে গোটা রাস্তা। হাইওয়েতেও বসানো হয়েছে পেরেকের স্ট্রিপ। ঠিক চার বছর আগে কৃষক আন্দোলনের সময় যে দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, তাই-ই ধরা পড়েছে আরও একবার।
এদিকে, পিছু হটতে নারাজ কৃষকরাও। পুলিশের ব্যারিকেড পেরিয়ে দিল্লিতে প্রবেশ করার জন্য নিজেরাই ট্রাক্টরগুলিকে অস্থায়ী ট্যাঙ্কার বানিয়েছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস বা রবার বুলেট ছুড়লে, তা আটকানোর জন্য লোহার শিট লাগানো হয়েছে কৃষকদের আনা জেসিবি মেশিনে। কাঁদানে গ্যাস ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানোর জন্য বস্তা জলে ভিজিয়ে প্রস্তুত রাখছে কৃষকরা।
কৃষক আন্দোলন ঘিরে যাতে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে পঞ্জাবের মুখ্যসচিবকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।