Student Death: টয়লেট সিট চাটিয়ে ভয়ঙ্কর র্যাগিং, স্কুল থেকে ফিরেই ২৬ তলা থেকে ঝাঁপ কিশোরের! বিচারের ভিক্ষা করছেন মা
Ragging: যেদিন মিহির আত্মহত্য়া করে, সেদিন তাঁকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে টয়লেট সিট জিভ দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়েছিল। কমোডে মাথা ঢুকিয়ে ফ্লাশ করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় এতটাই ভেঙে পড়ে যে বাড়ি এসে ২৬ তলা থেকে ঝাঁপ দেয় কিশোর।

কোচি: ২০২৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাবালক ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ্য তথা গোটা দেশকে। অভিযোগ উঠেছিল, সহপাঠীদের র্যাগিংয়ের শিকার হয়েই মৃত্যু হয়েছিল মেধাবী পড়ুয়ার। সেই ঘটনা স্মৃতি থেকে আবছা হওয়ার আগেই আবার ছাত্রমৃত্যু, আবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ। ১৫ বছরের এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মিহির আহমেদ নামক ওই স্কুল পড়ুয়া আত্মহত্যা করে গত সপ্তাহে। কেরলের কোচির বাসিন্দা ওই কিশোর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ পরই ২৬ তলা থেকে ঝাঁপ দেয়। তাঁর মায়ের দাবি, লাগাতার র্যাগিং তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। স্কুলে মিহিরকে গালিগালাজ, মারধর করা হত। এমনকী, টয়লেট সিটও চাটানো হয় জোর করে!
এই নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি লিখেছেন এবং তদন্তের দাবি করেছেন। মৃত ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, গায়ের রঙ নিয়ে নিত্যদিন কটাক্ষের শিকার হত কিশোর। স্কুলবাসে ও স্কুলে ছাত্রদের একটা দল তাঁকে প্রতিদিন অকথ্য গালিগালাজ ও অত্যাচার করত। এমনকী, কিশোরের মৃত্যুর পরও থামেনি তারা। সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত স্ক্রিনশটে জানতে পারেন যে তাঁর ছেলের মৃত্য়ুর পর উল্লাস করেছে সহপাঠীরা।

ভাইরাল চ্যাট। সত্যতা যাচাই করেনি টিভি৯ বাংলা।
যেদিন মিহির আত্মহত্য়া করে, সেদিন তাঁকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে টয়লেট সিট জিভ দিয়ে পরিষ্কার করানো হয়েছিল। কমোডে মাথা ঢুকিয়ে ফ্লাশ করে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় এতটাই ভেঙে পড়ে যে বাড়ি এসে ২৬ তলা থেকে ঝাঁপ দেয় কিশোর।
স্কুলের বিরুদ্ধেও মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন মৃত কিশোরের মা। মিহিরের কয়েকজন সহপাঠী মিলে একটি ইন্সটাগ্রাম পেজ খোলেন “জাস্টিস ফর মিহির” নামে, কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ জোর করে সেই পেজ ডিলিট করিয়ে দেয়।স্কুলের তরফে সত্য ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কেরলের শিক্ষামন্ত্রী এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুও এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। কিশোরের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন।





