স্কুলের গেট থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নাবালিকাকে! ‘ধর্ষক’ আসিফ ও ইরফানের ফাঁসির সাজা বহাল রাখল হাইকোর্টও

Death Penalty : ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডিবি ধারায় বলা রয়েছে, যদি ১২ বছরের কম বয়সি কোনও মেয়েকে এক বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ ধর্ষণ করে তাহলে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে, তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ফাঁসির সাজা দেওয়া হবে।

স্কুলের গেট থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল নাবালিকাকে! 'ধর্ষক' আসিফ ও ইরফানের ফাঁসির সাজা বহাল রাখল হাইকোর্টও
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 5:18 PM

ভোপাল : নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে মধ্য প্রদেশের নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল দুই ব্যক্তিকে। সেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দোষী সাব্যস্তরা। এবার মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখল।

মাত্র আট বছরের এক নাবালিকাকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ হয়। এরপর নিকটবর্তী এক শুনশান এলাকায় তাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে পুলিশকে নির্যাতিতা গোটা বিষয়টি জানায়। তার বয়ান অনুযাযী, ছুটির পর স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল সে। আর সেই সময় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি এসে তার মুখে জোর করে লাড্ডু জাতীয় কিছু মিষ্টি ঢুকিয়ে দেয় এবং অকুস্থলে নিয়ে যায়। সেখানে দুই ব্যক্তি তাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে।

পুলিশি তদন্তে ইরফান ও আসিফ নামে দুই ব্যক্তি গ্রেফতার হয়। দু’জনের বিরুদ্ধেই ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। নিম্ন আদালতে মামলাটি উঠলে বিচারক তাদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডি বি ধারা অনুযায়ী ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডিবি ধারায় বলা রয়েছে, যদি ১২ বছরের কম বয়সি কোনও মেয়েকে এক বা তার বেশি সংখ্যক মানুষ ধর্ষণ করে তাহলে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে, তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ফাঁসির সাজা দেওয়া হবে।

নিম্ন আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টে আবেদন জানায় দুই দোষী সাব্যস্ত। হাইকোর্টে বিচারপতি বিবেক রুশিয়া এবং শৈলেন্দ্র শুক্লার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, গণধর্ষণ একটি অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। তার উপর নির্যাতিতার বয়সের কথা মাথায় রাখলে, তা ফাঁসির সাজা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে নির্যাতিতার অধিকারকে পিছনে ফেলে রাখা যায় না।

সম্প্রতি একের পর এক নারকীয়তার ঘটনা সামনে এসেছে। মুম্বইয়ে টেম্পোর মধ্যে ধর্ষণ করা হয় বছর চৌত্রিশ বছরের এক মহিলাকে। নৃশংস অত্যাচার চলেছিল তাঁর উপর। পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। চিকিৎসকরাও তড়িঘড়ি তাঁর চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু শরীরে ক্ষত এত বেশি ছিল আর যে ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল, তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। মুম্বইয়ের এই ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনা নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজও এসেছে পুলিশের হাতে। নির্যাতিতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।

বছর খানেক আগে এ ভাবেই নৃশংস অত্যাচার ও গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছিল দিল্লির এক যুবতীকে। দিল্লিতে ফাঁকা বাসের মধ্যে গণধর্ষণ করা হয়েছিল ওই যুবতীকে। ঘটনার দিন কয়েক পর হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। তবে শুধু নির্ভয়াই নয়, এমন অনেক নৃশংস, নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা প্রায়শই আসে সংবাদ শিরোনামে। কিছুদিন আগে দিল্লিতে এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণে করে খুন করে দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি।

আরও পড়ুন : Mumbai Rape: শরীর জুড়ে দগদগে ক্ষত, ভেন্টিলেটরে ৩৩ ঘণ্টার লড়াই শেষ মুম্বইয়ের নির্ভয়ার